বরিশালের বানারীপাড়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ।

মো. সাব্বির হোসেন, বানারীপাড়া প্রতিনিধি

বরিশালের বানারীপাড়ায় পৌর শহরে ৯ম ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল শুক্রবার রাতে উপজেলার বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের আলতা গ্রামের বাবুল মিস্ত্রির ছেলে শোভন মিস্ত্রি (২২) কে আসামি করে বানারীপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম বানারীপাড়া পৌরসভার দক্ষিণ নাজিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তবে ভিকটিম স্কুল ছাত্রীর দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী মামলায় আসামি থেকে বাদ পরেছে ধর্ষণে সহায়তাকারী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডুর ছেলে শান্ত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে তার বাসার সামনের রাস্তা থেকে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে শোভন মিস্ত্রি ইজিবাইক গাড়িতে তুলে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। মামলায় বাদী ওই স্কুল ছাত্রীর মা জানান, স্থানীয় বখাটে শোভন মিস্ত্রি স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করাসহ নানা কুপ্রস্তাব দিত। এদিকে ভিকটিম ওই স্কুল ছাত্রীর বরাত দিয়ে তার মা আরো জানায়, ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে বাসার সামনে থেকে শোভন মিস্ত্রি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডুর ছেলে শান্ত তার মুখে রুমাল দিয়ে চেপে ধরে জোর করে ইজি বাইকে ওঠায়। এরপরে সেখান থেকে শোভনের বাড়ি নিয়ে চেতনানাশক দ্রব্য খাইয়ে পরের দিন বিকেল ৩ টা পর্যন্ত আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ওইদিন ৪ এপ্রিল, শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে ধর্ষণকারীরা রক্তাক্ত অবস্থায় বাসার সামনে পুনরায় ফেলে রেখে যায়। পরে ওই ছাত্রী সেই ঘটনা তার মা-কে খুলে বললে প্রশাসনের দারস্থ হয় ভিকটিমের পরিবার। ভিকটিম ও তার মা জানান, তারা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত লাল কুন্ডুর ছেলে শান্ত’র প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা বললেও মামলায় তাকে আসামী করা হয়নি।

এদিকে মামলার এজাহারে ধর্ষণকারী শোভনের সহায়তাকারী সুব্রত লাল কুন্ডুর ছেলে শান্ত কুন্ডর নাম না আসে সেজন্য সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত থানা চত্বরে বিভিন্ন লোকজন তদবির করে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য বিটু দাস ধর্ষণে সহায়তাকারী শান্ত কুন্ডুর নাম না বলতে মেয়েকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং ভিকটিমের মামাকে মোটা অঙ্কের টাকার প্রস্তাবও দেয়া হয় । ভিকটিমের স্বীকারোক্তিতে স্পষ্ট আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতার ছেলের নাম আসার পরেও তাকে কেন আসামি করা হয়নি সে নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন মহলে। ভিকটিমকে যথাযথ নিরাপত্তা দিলে এই ধর্ষণের পিছনের যারা যারা জড়িত রয়েছে প্রত্যেকের নাম সামনে চলে আসবে বলে মনে করেন তারা।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা জানান, স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।