27 C
Dhaka
সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫

বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়ীত্ব পাবে না-হিলিতে প্রধান বিচারপতি

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

কৌশিক চৌধুরী, হিলি, দিনাজপুর প্রতিনিধি:

জুলাই- আগষ্টের গণ-অভ্যুত্থানের পরে আমি বিচার বিভাগের দ্বায়িত্ব করি। দায়িত্ব গ্রহণের খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিচার ব্যবস্থা ও বিচার বিভাগের অবকাঠামোগত ও সাংবিধানিক সংস্কারের নীলনকশা জাতির সামনে তুলে ধরেছিলাম। সেটার প্রাপ্তি অনেকটা হয়েছে। এরপরে আরও অনেক পথ পারি দিতে হবে আমাদের। সংস্কারের এই বার্তা পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য সারা বাংলাদেশে আমার সফর শুরু করেছি। আমি সেপ্টেম্বর মাসে প্রথম বরিশাল থেকে যাত্রা শুরু করেছি এবং বর্তমানে রংপুর বিভাগে আছি। তাই বলতে চাই বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সেক্টরের সংস্কার স্থায়ীত্ব পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
আজ বেলা ১১টায় দিনাজপুরের হিলিতে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে সৈয়দ জাফর আহমেদ ও তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ডের অর্থায়নে দারিদ্র্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জানা গেছে,২০০৫ সালে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে প্রধান বিচারপতির বাবা মরহুম ব্যারিষ্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ তার মাতা তাবসেরুন্নেসা মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। পরবর্তীতে আজকের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ২০১৬ সালে এই হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজে আগমন করেন এবং তখন তার দাদার নমে সৈয়দ জাফর আহমেদ মেমোরিয়াল স্কলারশিপ ফান্ড চালু করেন। এরপরে এই ফান্ডের লভ্যাংশ থেকে দারিদ্র্য ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান চলমান রয়েছে।

এসময় তিনি বেশকিছু শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করেন এবং বলেন মেধাবী, পরিশ্রমী ও উচ্চ স্বপ্নবিভোর শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ভর যোগ্য একটি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় এসব বৃত্তি ফান্ড।
এছাড়াও তিনি তাঁর বাবা মরহুম ব্যারিষ্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ এর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, আমার বাংলাদেশ বিভাজনের পূর্বে ভারতের হিলি রামনাথ স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। আমি দেখেছি সেখানে আমার দাদা সৈয়দ জাফর আহমেদ ও আমার বড় চাচার নামে একটি অডিটোরিয়াম তৈরি করা হয়েছে। আমি সেই থেকে দেখে আসতেছি দুই হিলির মধ্যে আমাদের আত্মার একটা মিল রয়েছে। সেই সুবাদে হিলিতে আমি আগেও এসেছি এবং বহুদিন পরে আজ আবারও এসেছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিষ্টার মুহাঃ হাসানুজ্জামান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব শরীফুল আলম ভূঁঞা, স্পেশাল অফিসার মোঃমোয়াজ্জেম হোছাইন, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবীর,দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ,দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম,পুলিশ সুপার মারুফত হুসাইন, হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত রায়, হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সুজন মিয়া, হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি মোঃ ফেরদৌস রহমান, কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মামুনুর রশীদ আজাদসহ আরো অনেকে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

ইসরায়েলি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিদেশে কীভাবে কাজ করে?

বিভিন্ন সময় বিদেশের মাটিতে টার্গেট করে চালানো বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নাম এসেছে। বিশেষ করে এসেছে তাদের গোয়েন্দা...