Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক, খবরের দেশ:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর নতুন করে ৩৪% শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমানে চীনা পণ্যের ওপর মোট শুল্কের হার দাঁড়িয়েছে ৫৪ শতাংশেরও বেশি। এর জবাবে চীনও সমপরিমাণ শুল্ক আরোপসহ মার্কিন কোম্পানির ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শুরু করেছে।
এই কঠিন পরিস্থিতিকে চীন সংকট নয়, বরং সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে। দেশটির শীর্ষ সংবাদপত্র পিপলস্ ডেইলি জানিয়েছে, চীন ঘরোয়া বাজার ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়িয়ে রপ্তানিনির্ভরতা কমাতে চায়। এতে করে দেশটির অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল ও আত্মনির্ভরশীল হবে বলে সরকার আশাবাদী।
২০২৫ সালের ১৬ মার্চ চীন সরকার একটি “বিশেষ কর্মপরিকল্পনা” ঘোষণা করে। এর আওতায় পরিবারের আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা, শিশু যত্ন ভর্তুকি, পুরোনো গাড়ি ও ইলেকট্রনিক পণ্য বদলে নতুন কেনার সুযোগসহ নানা ভোক্তা-সহায়ক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং ঘোষণা দিয়েছেন, এ বছর ৫% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
এছাড়াও, চীন এখন বাণিজ্যিক অংশীদার বহুমুখীকরণ এবং প্রযুক্তিখাত ও স্থানীয় সরবরাহ চেইনে বিনিয়োগ বাড়িয়ে আমদানি-নির্ভরতাও কমাতে চায়।
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য এই শুল্ক যুদ্ধ উদ্বেগের হলেও, চীন পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে কৌশল নিচ্ছে তা দেশটির দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার প্রতি এক নতুন আস্থা প্রকাশ করছে।