Your Ads Here 100x100 |
---|
ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ডেস্ক:
বিশ্ববাজারে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির ফলে তীব্র অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের উপর ১০৪% শুল্ক আরোপ করায় এশিয়ার প্রধান শেয়ারবাজারগুলোতে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। জাপানের নিক্কেই সূচক ৩.৮% কমেছে, এবং ওয়াল স্ট্রিটের ফিউচার সূচকও ১.৫% হ্রাস পেয়েছে। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সূচক তার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পতনের সম্মুখীন হয়েছে, যা বিয়ার মার্কেটের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
এশিয়ার বাজারগুলোতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। গ্লোবাল বেঞ্চমার্ক বন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝোঁকার প্রবণতা নির্দেশ করে।
এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ মুদ্রায় আশ্রয় নিচ্ছেন, যার ফলে জাপানি ইয়েন এবং সুইস ফ্রাঁর মান বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, চীনা ইউয়ান ২০০৭ সালের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে, যা বেইজিংয়ের মুদ্রার অবমূল্যায়ন নীতির ইঙ্গিত দেয়।
তেলের দাম প্রায় ৪% কমে গেছে, যা চীনের চাহিদা হ্রাসের আশঙ্কা থেকে উদ্ভব হয়েছে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের বিক্রয় বেড়েছে, যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মার্কিন সম্পদ থেকে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন যে এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার দিকে ধাবিত হতে পারে। জেপিমর্গ্যানের মতে, এই পদক্ষেপটি মার্কিন অর্থনীতিতে প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ডলারের কর বৃদ্ধির সমতুল্য হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কূটনৈতিক সমাধানের গুরুত্ব অপরিসীম।
চীন এই শুল্কের প্রতিক্রিয়ায় প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, ভিয়েতনাম: এই দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে শুল্কের প্রভাব কমানো যায়।
এই পরিস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের রিজার্ভ ব্যাংক সুদের হার কমিয়েছে, বৈশ্বিক বাণিজ্য ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে। সোনার দামও বেড়েছে, বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ সম্পদের দিকে ঝোঁকার ফলে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে, চীন তার শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক আহ্বান করেছে। এই বৈঠকে অর্থনীতির গতি বাড়ানো, পুঁজিবাজার স্থিতিশীল করা এবং রপ্তানি কর রিফান্ডের মতো পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হবে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং পূর্বে উল্লেখ করেছিলেন যে, চীন বহিরাগত প্রভাব মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত নীতিগত সরঞ্জাম রয়েছে।