Your Ads Here 100x100 |
---|
মো: মাসুদ রানা মিশু, নওগাঁ প্রতিনিধি
সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নওগাঁ শহরের এক নারী। গতকাল বুধবার দুপুরে শহরের একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করেন মৌসুমি খাতুন (২৫) নামের ওই নারী।
সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমি বলেন, ২০২২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় শহরের কোর্ট চত্বর এলাকার বাসিন্দা ও বর্তমান ভূমি অফিসের অফিস সহকারী সোহেল রানা চয়নের সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তিনি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হন। একাধিকবার হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে।
মৌসুমীর ভাষ্য, “প্রতিবাদ করলে তালাক ও হত্যার হুমকি দিত। পরে আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিছুদিন পর আবার ভুল স্বীকার করে আমার সঙ্গে গোপনে সংসার শুরু করে।”
সংসার চলাকালীন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে জোর করে তার গর্ভপাত ঘটানো হয় বলে অভিযোগ করেন মৌসুমি। এর মধ্যেই স্বামী সোহেলের চাকরির জন্য তার পরিবার থেকে পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এরপর চাকরি হলেও সম্পর্ক স্বীকার না করে আবার নির্যাতন শুরু হয়। পরে জানা যায়, সোহেল দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।
মৌসুমি বলেন, “তার পরিবারের চাপে আমি সব সহ্য করে থেকেছি। কিন্তু এখন সে আমাকে অস্বীকার করছে। বলছে দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে। অথচ আমার গহনা, আসবাব ও নগদ টাকাসহ প্রায় সাত লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।”
এই ঘটনায় আদালতে দুটি মামলা করেছেন মৌসুমি খাতুন। তাঁর অভিযোগ, মামলার পর থেকে সোহেলের বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। তিনি নিজেকে ডিসি অফিসের কর্মচারী পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলেও দাবি করেন মৌসুমি।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, “মৌসুমি আমার স্ত্রী ছিল। তবে তাকে তালাক দিয়েছি। আদালতে মামলা হয়েছে, আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো মীমাংসা হবে।”
মৌসুমি প্রশাসনের কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।