35 C
Dhaka
সোমবার, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
রমজান আলী, কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি:

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল ইনজেকশনে এক প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে হাসপাতাল বন্ধ ও ডাক্তারের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় স্থানীয় ও স্বজনেরা উপজেলার বসুরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে হাসপাতালের সামনে, হাসপাতাল বন্ধের দাবীতে ও ইনজেকশন পুশ করা ডাক্তারের গ্রেফতারের দাবীতে অবস্থান করে। এসময় তারা বিভিন্ন ধরণের স্লোগান দিতে থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ এসে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) এর পেটে ব্যাথা, জ্বর অনুভব করলে এবং পাতলা পায়খানা শুরু হলে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ইনজেকশন পুশ করে, সাথে সাথে আবিরের অবস্থার অবনতি ঘটলে ফেনী একটি বেসরকারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। তারপর অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

নিহত শাহরিয়ার মাহমুদ আবির (২৮) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সানা উল্যাহ বাহারের ছেলে। তিনি দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবত আবুধাবীতে ব্যবসা করতেন।
নিহতের ছোট ভাই ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন জানান, গত পাঁচ বছর যাবত আমার বড় ভাই আবির আবুধাবিতে বাবার সঙ্গে ব্যবসা করতেন। গত তিন বছর আগে তিনি বিয়ে করেন। প্রতি বছর তিনি দেশে আসা যাওয়া করতেন। গত বৃহস্পতিবার ১০ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি আবুধাবি থেকে বাড়িতে আসেন। তাৎক্ষণিক তার ডায়রিয়া, জ্বর ও পেটে ব্যাথা দেখা দিলে আমি (নিহতের ছোট ভাই), আমার মা ও ভাবী তাকে নিয়ে উপজেলার বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালে যাই, ওই সময় ডিউটিরত ডাক্তার বেলায়েত হোসেন মামুন তার শরীরে একটি ইনজেকশন পুশ করে। এতে আমার ভাইয়ের চোখ-মুখ লাল হয়ে শরীরে জ্বালা পোড়া শুরু হয় এবং প্রেশার একবারে কমে যায়। পরে তার অবস্থা বেগতিক দেখে রাত ৮টার দিকে বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে, তাকে ফেনীর জেড ইউ হসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকার বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ইমন (নিহতের ছোট ভাই) আরও বলেন, বারডেমের ডাক্তার ইনজেকশনের প্রেসক্রিপশন দেখে ভুল ইনজেকশনে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। আমরা অভিযুক্ত ডাক্তারের বিচার ও হাসপাতাল বন্ধের দাবি জানাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজের বক্ষব্যাধি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বসুরহাট সেন্ট্রাল হাসপাতালের এমডি ডা.আ.ফ.ম আব্দুল হক অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভিযোগ যারা করেছে তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। রোগীর বমি ছিল ও আগে থেকেই পেশার একেবারে ডাউন ছিল। তখন আমাদের ডিউটি ডাক্তার স্যালাইন, ইনজেকশন দিয়ে তাকে ভর্তি হতে বলেন।

তিনি আরও বলেন, পরে আমাকে রোগীর ভর্তির বিষয়টি জানানো হয়। আমি রোগী দেখতে গেলে দেখি রোগীর পেশার একেবারে ডাউন, নেই বললেই চলে, অস্থিরতা করছে। অনেক সময় ডেঙ্গু শক থেকেও এমনটা হতে পারে। যা মাথায়ও এফেক্ট করতে পারে। রোগীর মামাও লোকাল ডাক্তার। রাত ৮টার দিকে রোগী একটু পেশার বাড়তে থাকলে রোগীর স্বজনেরা তাকে ফেনী নিয়ে যায়।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম জানান, নিহতের স্বজনেরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ করেছে। এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে কুবিতে নানা আয়োজন

মোঃ জোনায়েদ, কুবি প্রতিনিধি: পহেলা বৈশাখে বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসনের উদ্যোগে থাকছে বর্ষবরণ শোভাযাত্রাসহ নানা...