Your Ads Here 100x100 |
---|
আদমদীঘি, বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারে ট্রাক্টর চালক আমিরুল ইসলামকে (৩৬) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে
বাড়ির পাশের রেললাইনে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নিহত আমিরুল উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের পোঁওতা টিকরী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। শনিবার দুপুরে পোঁওতা টিকরী গ্রাম সংলগ্ন
রেললাইন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকালে ওই ট্রাক্টর চালক কাজের জন্য বাড়ি থেকে বের হোন। এরপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। শনিবার সকালে রেললাইনের পাশ দিয়ে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি হেঁটে যাওয়ার সময় আমিরুলের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা নিহতের পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানান।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
আত্নীয়-স্বজন ও স্থানীয়দের ধারণা, ট্রাক্টর চালানো শেষে শুক্রবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় দুর্বৃত্তরা তাঁর পথরোধ করে এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করে। সেটি ঢাকতেই হয়তো তাঁর মরদেহটি রেললাইনে ফেলে রেখে যায় তাঁরা।
সান্তাহার ট্রাক্টর চালক কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও উপর পোঁওতা গ্রামের বাসিন্দা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,আমিরুলের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে রেললাইনের পাশে তাঁর মরদেহ ফেলে রাখা হয়।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, স্থানীয়দের খবরে আমিরুলের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে রেলওয়ে সীমানার বাইরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে রেললাইনের পাশে তাঁর মরদেহ ফেলে রাখা হয়। খুনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে খুনিরা তার মরদেহটি ওই স্থানে রেখে যান। যাতে সকলেই মনে করেন তার মৃত্যুর ঘটনা রেললাইনেই ঘটেছে।
হত্যার কারণ উদঘাটন এবং তদন্তপূর্বক জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোড় চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।