Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক, খবরের দেশ:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য নির্মিত ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ আগুন দিয়ে পুড়ে দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। রবিবার (১৩ এপ্রিল) এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রাথমিক অনুমান বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই শিক্ষার্থীর নাম রবিউল ইসলাম রাকিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ও আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জানান, ’বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আরবী বিভাগের এক শিক্ষার্থীর (‘র’ আদ্যক্ষর) ছবি পেয়েছি। বিষয়টি ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি। যদিও তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনতে পারছি না। ছবিটি নিয়ে বিভাগে কাজ চলছে। চেষ্টা করছি বিষয়টি অতি দ্রুত নিশ্চিত করতে।’
সহকারী প্রক্টর আরও বলেন, ওই শিক্ষার্থীর জড়িত হওয়ার বিষয়টি সত্যি হলেও হতে পারে। কারণ গত জুলাইয়ে এমন অনেককে দেখেছি যাদেরকে কল্পনাও করতে পারিনি যে, তারা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করবে।
এ বিষয়ে আরবি বিভাগের ছাত্র ও প্রাথমিকভাবে সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই শিক্ষার্থীর এক সহপাঠী জানান, ‘খালি চোখে আমাদের ক্লাসের সবাই তাকেই শনাক্ত করতে পেরেছে। ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ার পরপরই বিভিন্ন মেসেঞ্জার গ্রুপে যখন দেওয়া হয়, তখনই সবাই বলছে সে আমাদের ক্লাসের। চোখের চশমা, লম্বা চুল এবং কালো গেঞ্জি- সবমিলেয়ে তাকে সনাক্ত করা সহজ হয়েছে।’
আরেক সহপাঠী নাসির বলেন, ক্লাসের যতজন এই আগুন লাগানো ফুটেজ দেখছে; প্রায় সবাই নিশ্চিত যে ওই শিক্ষার্থীই (‘র’ আদ্যক্ষর) এই কাজ করছে। সে কয়েক দিন আগেও ভোর বেলায় একাত্তর হলের সামনে এসে ছাত্রলীগের স্লোগান দিয়ে গেছে এবং প্রকাশ্যে তার টাইমলাইনে পোস্টও করেছে। কিন্তু এ ঘটনার পর সে ফেসবুক আইডি ডিএক্টিভেট করেছেন।
তিনি আরো বলেন, সে জুলাই ঢাবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলায় জড়িত ছিল। আমরা তাকে বিভাগ থেকে পুরোপুরি বয়কট করেছি। হল থেকেও তাকে বয়কট করা হয়েছে। সেই ক্লাস পরীক্ষা কিছুতেই অংশগ্রহণ করতে পারছে না।
একই কথা বলেছেন আরবী বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিল। তিনি বলেন, শুধু আমি না আমাদের ব্যাচের সবাই তাকে শনাক্ত করতে পেরেছে। হলে থাকাকালীন ছাত্রলীগের সাথে খুব অ্যাক্টিভলি জড়িত ছিল সে ।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সন্দেহের তালিকায় থাকা ওই শিক্ষার্থীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।