27.2 C
Dhaka
শনিবার, আগস্ট ২, ২০২৫

বিসিবিতে দুদকের অভিযান: মুজিববর্ষ আয়োজনে ২০ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে দুদকের তিন সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন জানান, সুনির্দিষ্ট তিনটি অভিযোগের ভিত্তিতে তারা এ ‘এনফোর্সমেন্ট অভিযান’ পরিচালনা করেছেন। এর মধ্যে দুটি গুরুতর অভিযোগ হলো—বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম ১০ আসরের টিকিট বিক্রি থেকে প্রাপ্ত আয়ের হিসাবের অসঙ্গতি এবং মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিসিবির আয়োজনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ।

দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে প্রেরিত চিঠিতে আরও জানানো হয়, বিসিবির বিভিন্ন ক্রিকেট লিগে দল বাছাই প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়েও তদন্তের জন্য টিম পাঠানো হয়েছে।

আল আমিন জানান, ২০২০-২১ সালে আয়োজিত মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়ে অসঙ্গতি রয়েছে বলে তারা সন্দেহ করছেন। তিনি বলেন, “মুজিববর্ষের আয়োজনে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হলেও প্রকৃত ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি টাকার মতো। অর্থাৎ প্রায় ১৮-১৯ কোটি টাকার গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টিকিট বিক্রির আরও ২ কোটি টাকার তথ্য হিসাব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ আত্মসাতের পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে, তবে এখনো নিশ্চিত নয়। বিসিবির অর্থ বিভাগ থেকে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সব তথ্য যাচাই শেষে এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে এবং কমিশন পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।”

বিপিএলের টিকিট বিক্রির আয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “বিপিএলের একাদশ আসরে বিসিবির আয় ছিল ১৩ কোটি টাকা, যেখানে আগের আট বছরে মোট আয় ছিল ১৫ কোটি টাকা। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রশ্নবিদ্ধ এবং তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে।”

এছাড়াও জানা গেছে, বিসিবির তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেটে ২০১৪-১৫ মৌসুম থেকে ক্লাব নিবন্ধন ফি ৭৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়, যার ফলে অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা হ্রাস পায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৃতীয় বিভাগে পাঁচটির বেশি দল অংশ নেয়নি। দুদক জানিয়েছে, অর্থ নিয়ে কারসাজির অভিযোগ এখানে পুরনো। আগে ২-৩ বা সর্বোচ্চ ৪ দলের লিগ হতো—এই প্রক্রিয়ায় বোর্ডের কোনো প্রভাব ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দুদকের অনুসন্ধান প্রক্রিয়ায় বিসিবির পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।”

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

কি ইট লাগাইছে, শহিদদের কবরের ওপর এভাবে দুর্নীতি করছেন?

খবরের দেশ ডেস্ক : কি ইট লাগাইছে, শহিদদের কবরের ওপর এভাবে দুর্নীতি করছেন?  জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ রায়েরবাজার গণকবরের লাশগুলো ডিএনএ টেস্টের...