30 C
Dhaka
শনিবার, মে ৩, ২০২৫

আগামী বছর থেকে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার চালু করছে তিতাস

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক

আগামী বছরের মধ্যে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ জানিয়েছেন, এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প ব্যবস্থাপনা পরামর্শক (পিএমসি) ইতোমধ্যে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ২০২৬ সালের দ্বিতীয়ার্ধে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু করতে পারব।”

এ প্রকল্পটি এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অচিরেই আরও একটি পিএমসি নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত আরেকটি প্রকল্পেও ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট লিমিটেড (ডিটিসিএল)-কে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে পরীক্ষামূলকভাবে প্রিপেইড মিটার স্থাপন কার্যক্রম শুরু করেছিল তিতাস। সে সময় জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা)-র অর্থায়নে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদী জেলায় মোট চার লাখ ২০ হাজার প্রিপেইড মিটার বসানো হয়।

তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, “এই নতুন প্রকল্পটি এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে এবং এতে বসানো সব মিটারই হবে স্মার্ট প্রিপেইড। পূর্ববর্তী মিটারগুলো প্রিপেইড হলেও স্মার্ট প্রযুক্তির ছিল না।”

তিনি আরও বলেন, “প্রিপেইড ও স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো—প্রচলিত প্রিপেইড মিটারে রিচার্জের জন্য ব্যবহারকারীকে নির্দিষ্ট ভেন্ডর পয়েন্টে যেতে হয়, whereas স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করা যাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেকোনো স্থান থেকে।”

নতুন প্রকল্পের আওতায় তিতাসের আওতাভুক্ত এলাকাগুলোতে মোট ১৭ লাখ ৫০ হাজার স্মার্ট প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রায় ১৮ মাস আগে এডিবি ও বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দুটি পৃথক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিতাস এ ঋণচুক্তিগুলো সম্পন্ন করে।

নতুন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা দক্ষিণ ও নারায়ণগঞ্জে এবং এডিবির অর্থায়নে ঢাকা উত্তর ও গাজীপুরে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানো হবে।

বর্তমানে তিতাস গ্যাস ২৮ লাখ ৭৮ হাজার গ্রাহককে সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার আবাসিক, ১২ হাজার ৭৮টি বাণিজ্যিক, ৫ হাজার ৪২৯টি শিল্প প্রতিষ্ঠান, ১ হাজার ৭৫৫টি ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ৩৯৬টি সিএনজি স্টেশন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশের গ্যাস বিতরণ বাজারের ৫৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে তিতাস গ্যাস, বাকী ৪৫ শতাংশ পরিচালনা করছে আরও পাঁচটি কোম্পানি।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

মস্কোর পর এবার স্পেনের চলচ্চিত্র উৎসবে ঢাকার ‘মাস্তুল’

বাংলাদেশের সিনেমা মাস্তুল নতুন একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ৪৭তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে 'স্পেশাল মেনশন' পুরস্কার পাওয়ার পর, এবার...