29 C
Dhaka
রবিবার, এপ্রিল ২০, ২০২৫

মিয়ানমারের সংঘাত ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক

মিয়ানমারে চলমান সংঘাত, সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা, বেসামরিক নাগরিকদের হতাহত হওয়া এবং নাফ নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষের জীবিকা ব্যাহত হওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সতর্ক করে বলেন, “এই অস্থিরতা অব্যাহত থাকলে তা আরও বড় ধরনের নিরাপত্তা হুমকিতে পরিণত হতে পারে।” রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

রবিবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি-জেনারেল জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রফেসর ইউনূস সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা স্মরণ করে বলেন, “তার এই সফর রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের নতুন আশা জাগিয়েছে।”

মিয়ানমারের সংঘাত ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
মিয়ানমারের সংঘাত ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

সাক্ষাৎকালে ড. ইউনূস জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আরও বেশি নারী নিয়োগের আহ্বান জানান। পাশাপাশি, বৈশ্বিক শান্তিরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রচেষ্টার প্রতি বাংলাদেশের অটল অঙ্গীকারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশি নারীদের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিশেষভাবে উৎসাহিত করছি।”

বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ শান্তিরক্ষী (সেনা ও পুলিশ) প্রেরণকারী তিনটি দেশের একটি। বর্তমানে ১১টি সক্রিয় মিশনের মধ্যে ১০টিতে বাংলাদেশের ৫,৬৭৭ জন শান্তিরক্ষী নিয়োজিত রয়েছেন।

জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জাতিসংঘের নীতির কথা তুলে ধরে বলেন, “আমরা নারীদের নির্দিষ্ট কিছু ভূমিকায় সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। শান্তিরক্ষার প্রতিটি স্তরে নারীদের অংশগ্রহণে জাতিসংঘ সম্পূর্ণভাবে সমর্থন দেবে।”

মিয়ানমারের সংঘাত ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
মিয়ানমারের সংঘাত ও সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

প্রধান উপদেষ্টা প্রয়োজন অনুযায়ী অতিরিক্ত সেনা ও পুলিশ মোতায়েনে বাংলাদেশের প্রস্তুতির কথাও জানান। তিনি ‘পিসকিপিং ক্যাপাবিলিটি রেডিনেস সিস্টেমে’ (পিসিআরএস) বাংলাদেশের পাঁচটি ইউনিটকে র‌্যাপিড ডিপ্লয়মেন্ট পর্যায়ে রাখার প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দেন।

শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সদর দপ্তর ও মিশন—উভয় পর্যায়ে বাংলাদেশিদের নেতৃত্বমূলক অবস্থানে প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর পক্ষে মত দেন ড. ইউনূস। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সমর্থনের আশ্বাস দেন জ্যাঁ-পিয়েরে লাক্রোয়া।

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী যাচাই প্রক্রিয়া (ভেটিং) কঠোরভাবে অনুসরণ করে এবং প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা বিষয়ে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষা জোরদারে আগ্রহী।”

সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টাকে জানানো হয়, বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে আগামী ১৩ থেকে ১৪ মে জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘকে আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

নিউজ ডেস্ক জাতিসংঘকে বাংলাদেশ থেকে আরও নারী শান্তিরক্ষী নিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি...