Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক
সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাজাহান খান বলেছেন, “রাজাকাররা এখন ক্ষমতায়, আর মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।” দীর্ঘ সাড়ে সাত মাস কারাবন্দি থাকার পর সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়ার পথে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ বিষয়ে জানতে চাইলে টানা আটবারের সংসদ সদস্য শাজাহান খান বলেন, “অবশ্যই নির্বাচন করব।”
ওইদিন চানখারপুলে ব্যবসায়ী মনির হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন সংক্রান্ত শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে তাকে আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয় এবং পরে এজলাসে তোলা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক এই এমপিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। শাহবাগ থানার এসআই মাইনুল ইসলাম খান পুলক গত ১৩ এপ্রিল এ আবেদন করেন।
বিচারকের আদেশের পর ফের হাজতখানায় নেওয়ার সময় শাজাহান খান সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “তোমরা কিছু বলো না; শুধু আমাকে দিয়ে বলাতে চাও।” এ সময় তিনি পুনরায় বলেন, “রাজাকাররা ক্ষমতায়, মুক্তিযোদ্ধারা জেলখানায়।”
এর আগে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাজাহান খানের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি সত্য বলেছি। যা ঘটেছে, তাই বলেছি।” তিনি আরও দাবি করেন, তাদের সঙ্গে ‘অবিচার’ করা হচ্ছে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গত ৫ আগস্ট চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র পাট ব্যবসায়ী মো. মনির। সেদিন দুপুরে অভিযুক্তদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে শাজাহান খানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর একাধিক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
শাজাহান খান বর্তমানে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি। তিনি ১৯৮৬ সালে মাদারীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ওই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।