Your Ads Here 100x100 |
---|
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ আবারও বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তিনি একটি সিগন্যাল গ্রুপ চ্যাটে মার্চ মাসে ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে চালানো হামলার বিস্তারিত তথ্য শেয়ার করেছেন। এই গ্রুপ চ্যাটে তার স্ত্রী, ভাই এবং ব্যক্তিগত আইনজীবীসহ প্রায় দশজন ব্যক্তি ছিলেন।
এই ঘটনা আরও একটি সিগন্যাল চ্যাটের পরিপূরক, যেখানে গত মাসে ‘দ্য আটলান্টিক’ পত্রিকার সম্পাদক জেফ্রি গোল্ডবার্গ ভুলক্রমে যুক্ত হন এবং সেখানে সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ইয়েমেন হামলার বিস্তারিত আলোচনা করেছিলেন। এই নতুন চ্যাটে হামলার সময়সূচি এবং অন্যান্য অপারেশনাল তথ্য শেয়ার করা হয়েছিল।
হেগসেথের স্ত্রী, জেনিফার, যিনি ফক্স নিউজের প্রাক্তন প্রযোজক, তাকে সেনাবাহিনীর সংবেদনশীল বৈঠকগুলোতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে, যা আরও বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এছাড়া, তার ভাই, যিনি হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের পেন্টাগনের লিয়াজন, এই ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
এই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় পেন্টাগনের অভ্যন্তরীণ তদন্ত চলছে, এবং এরই মধ্যে কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা হেগসেথের পদত্যাগ দাবি করেছেন, এবং তারা বলছেন যে, তার কর্মকাণ্ড জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।
হেগসেথ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, “কেউ যুদ্ধ পরিকল্পনা পাঠাচ্ছিল না,” এবং গোল্ডবার্গকে “প্রতারণাপূর্ণ” ও “অবিশ্বাস্য” বলে অভিহিত করেছেন। তবে, এই ঘটনা সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁসের বিষয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।