Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
সোমবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের বারান্দায় এই অনশন কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে শিক্ষার্থীরা ড. এম. এ. রশিদ হলের সামনে জড়ো হন। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে তারা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারে গিয়ে অবস্থান নেন এবং বিকেল ৪টা থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন।
অনশনের সময় কুয়েটের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আলোচনা চলমান ছিল।
এর আগে সকালে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক শিক্ষার্থীদের অনশন থেকে বিরত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান জানান।
ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ ইলিয়াস আকতার বলেন, “আজ দুপুর ৩টা থেকে শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি রয়েছে। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আশা করছি, তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে। অল্প কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের সঙ্গে বসেছিল, তারা বাকিদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।”
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ৩৭ জন শিক্ষার্থীর সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত স্থগিতের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। জানানো হয়, নিরপরাধ কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না এবং শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়া হলগুলোতে খাবারের সমস্যা থাকায় তা সমাধানেরও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আলোচনার কোনো নির্দিষ্ট এজেন্ডা না থাকলেও সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থা স্বাভাবিক করাই আলোচনার মূল উদ্দেশ্য ছিল।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সহকারী ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক রাজু আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। মামলার বাদীর সঙ্গে আলোচনা করে তা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, এ মামলায় কুয়েট প্রশাসনের কোনো প্ররোচনা নেই।