Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অবস্থিত ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
নিউ মার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসিন উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের সামনে গিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, “সোমবার ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থীকে সিটি কলেজের ছাত্ররা মারধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার জেরে মঙ্গলবার ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।”
যদিও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল, তবে এলাকার সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এই দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বারবার সংঘর্ষ ও উত্তেজনার কারণে আশপাশের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার একটি হাসপাতালের ওষুধের দোকানের কর্মী রিয়াজুল ইসলাম ফেসবুকে লিখেছেন, “পড়াশোনা শিখে এরা অমানুষ হয়েছে। দুই দিন পরপর নিজেদের জাত চিনিয়ে দেয়।”
চলতি মাসের ১৫ তারিখেও একই দুই কলেজের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উত্তেজনার একপর্যায়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং সড়কের দুপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানিয়েছিলেন ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান।
সায়েন্স ল্যাব মোড় থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজ। এই তিন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় প্রতি বছরই একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে থাকে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি কথা কাটাকাটির জেরে সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায়। তার আগে, ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা দেড় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়ায়, যেখানে ১৮ জন আহত হন এবং আইডিয়াল কলেজের নামফলক খুলে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে।
এর পাঁচ দিন পর, আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের একটি বাস ভাঙচুর করে। একই বছরের ২০ নভেম্বর, ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন দুপুরে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের দুটি বাস ভাঙচুর করে। এর জেরে সেদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।
পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ, ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ ও বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির উদ্দেশ্য ছিল—ধানমন্ডি এলাকার এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছোটখাটো সমস্যা যেন বড় ধরনের সহিংসতায় রূপ না নেয়, তা নিশ্চিত করা।
তবুও সামান্য কারণকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগজনক।