Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) বলেছেন, “পুলিশের কোনো সদস্য সিভিল ড্রেসে আসামি ধরতে পারবেন না। পুলিশ বাহিনীতে তেলবাজিব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চলছে, যা বন্ধ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নয়নে কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টায় যশোর জেলার সরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। সভাটি শহরের কালেক্টরেট ভবনের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে এসে নতুনভাবে কাজ শুরু করতে হবে। এখনই তৎপর হতে হবে। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাশাপাশি জামিনে মুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের উপর নজর রাখা প্রয়োজন।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরো বলেন, “মাদকের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে হবে। মাদক বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে চাকরি থাকবে না। আমরা নিরাময়কেন্দ্র খুলতে চাই না, বরং মাদক নির্মূল করতে চাই। দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশে নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে এবং বদলি বাণিজ্যও নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।” তিনি এ সময় ওসিদের ঘুষ নেওয়া বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
তিনি তদবির প্রথা সম্পর্কে বলেন, “এখনো অনেকেই তদবির করেন। উপদেষ্টা হওয়ার পর আমার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সংখ্যা বেড়ে গেছে, যাদের অনেককে আমি চিনিও না। যদি কেউ আমার নামে তদবির করেন, তাহলে প্রথমে চা-নাশতা খাওয়াবেন, তারপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।”
মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজ, যশোর সেনানিবাসের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা বিভাগের ডিআইজি মো. রেজাউল হক, জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আজ মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং তিনজন উপদেষ্টা যশোরের ভবদহ এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন।