Your Ads Here 100x100 |
---|
এম.এ. কিবরিয়া, নীলফামারী থেকে ফিরে:
চীন সরকারের সহযোগিতায় নীলফামারীতে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে টেক্সটাইল মাঠকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন শেষে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হারুনুর রশীদ।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, হাসপাতাল নির্মাণের জন্য প্রাথমিকভাবে কয়েকটি স্থান বিবেচনায় নেওয়া হয়। তবে, সবদিক বিবেচনায় নীলফামারী শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত টেক্সটাইল মাঠটিই সবচেয়ে উপযোগী বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শে রংপুরে একটি জায়গা পরিদর্শন করা হলেও তা সন্তোষজনক ছিল না। এরপর নীলফামারী জেলা প্রশাসক বিকল্প এই জায়গাটি প্রস্তাব করেন এবং আমরা দ্রুত পরিদর্শন করি। জায়গাটি নিয়ে কোনো পক্ষের আপত্তি নেই বলেই এটি প্রথম পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে।
ডা. হারুনুর রশীদ আরো বলেন, স্থানীয়ভাবে মাঠটির অবস্থান খুবই সুবিধাজনক। এখানে বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় আকাশপথে যোগাযোগ সহজ, একইসাথে রেল ও সড়কপথেও সরাসরি যাতায়াত ব্যবস্থা রয়েছে। উপদেষ্টা মহোদয় ১০ থেকে ১২ একর জমির কথা বলেছিলেন, অথচ টেক্সটাইল মাঠে রয়েছে প্রায় ২৫-৩০ একর জায়গা, যা অবকাঠামোগতভাবে আরও বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে।
মাঠ পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জনাব নাইরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. সাইদুল ইসলাম এবং বিএনপির জেলা সভাপতি আ খ ম আলমগীর হোসেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস চীন সফরে গিয়ে দেশটির সরকারের কাছ থেকে ১০০০ শয্যার একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি পান। তার নির্দেশনায় রংপুর বিভাগের উপযোগী জায়গা নির্বাচন করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তৎপর হয়।
অন্যদিকে, চীন সরকারের উপহারের এই হাসপাতাল কোথায় হবে তা নিয়ে দেশজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি চলছে। অনেকে নিজ নিজ এলাকায় এই হাসপাতাল স্থাপনের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনও করছেন।
তবে এসব বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে ডা. হারুনুর রশীদ বলেন, চীন সরকারের উপহারের এই হাসপাতাল নীলফামারীতেই হবে। জায়গাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে উপযুক্ত। আমরা বিশ্বাস করি, এখানে নির্মাণ কাজ শুরু হলে স্বাস্থ্যখাতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।