Your Ads Here 100x100 |
---|
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
গতকাল ২২ এপ্রিল ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বেসারান উপত্যকায় পর্যটকদের ওপর চালানো সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এই হামলাটি গত তিন দশকের মধ্যে কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৪ জন ভারতীয় নাগরিক, ২ জন বিদেশি নাগরিক (একজন নেপালি এবং একজন সংযুক্ত আরব আমিরাতের) এবং ২ জন স্থানীয় বাসিন্দা রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২০ জন।
হামলার বিবরণ
হামলাকারীরা চার থেকে ছয়জনের একটি দল ছিল, যারা সামরিক পোশাকে সজ্জিত ছিল। তারা বেসারান উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আক্রমণকারীরা প্রথমে পুলিশ পরিচয়ে পর্যটকদের কাছ থেকে নাম জানতে চায় এবং পরে হঠাৎ করে গুলি চালায়। তারা বেশিরভাগ পুরুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং বেশিরভাগ নারীকে বাঁচিয়ে রাখে। হামলার পর, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কিছু গুরুতর আহতকে হেলিকপ্টারে করে শ্রীনগরের সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
হামলার দায় স্বীকার
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে “দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট” (The Resistance Front), যা পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার একটি উপশাখা। তারা দাবি করেছে যে, ভারতের কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর ৮৫,০০০-এরও বেশি বাইরের লোকের বসবাসের কারণে কাশ্মীরের জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন হচ্ছে, যা তারা প্রতিরোধ করতে চায়।
প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই হামলার নিন্দা করেছেন এবং হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ শ্রীনগরে গিয়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও এই হামলার নিন্দা জানানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে.ডি. ভ্যান্স, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, এবং অন্যান্য বিশ্ব নেতারা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এই হামলা কাশ্মীরে শান্তি ও পর্যটনের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে এবং অঞ্চলটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।