Your Ads Here 100x100 |
---|
সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
গত ৪ দিন ধরে লালমনিরহাট-বুড়িমারী রেলপথে, সব ধরনের লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বুড়িমারী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” চালু না করায় গত ২১ এপ্রিল থেকে রেলপথে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি শুরু করে সাধারণ মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন দৈনিক যাত্রীরা, বিশেষ করে ঢাকা ও রংপুরগামী যাত্রীরা।
অবরোধের অংশ হিসেবে পাটগ্রাম রেলস্টেশনে গত সোমবার সকাল থেকে লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। লালমনিরহাট-বুড়িমারী রুটে নিয়মিত চলাচলকারী ৪ জোড়া লোকাল ট্রেনসহ সব পরিষেবা স্থগিত হয়েছে। এছাড়া হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ ও পাটগ্রাম উপজেলায়ও এই আন্দোলন জোরালোভাবে পালিত হচ্ছে। রেল কর্তৃপক্ষ গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে রুটটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

এই রুটের ট্রেনে প্রতিদিন হাজারো যাত্রী বুড়িমারী, পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, ভোটমারি, তুষভান্ডার, রংপুর ও ঢাকায় যাতায়াত করেন। ট্রেন বন্ধ থাকায় অনেককে বাস বা অটোরিকশা করে লালমনিরহাট স্টেশনে পৌঁছে ঢাকাগামী ট্রেন ধরতে বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। দিনমজুর থেকে শুরু করে নারী ও শিশু যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, রেলওয়ের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বুড়িমারী থেকে সরাসরি ঢাকাগামী ট্রেন চালু করা হয়নি। যদিও স্টেশনটির অবকাঠামো উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি তাদের। গত কয়েক মাসে কয়েক দফায় আলোচনা ও আশ্বাস দেওয়া হলেও ট্রেন চালুর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এ অবস্থায় “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” চালুর দাবিতে রেলপথে অবরোধকে চূড়ান্ত হাতিয়ার বেছে নিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চলমান পরিস্থিতি নিয়ে লালমনিরহাট রেল বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় নেতাদের আলোচনা হয়েছে। তবে এখনো কোনো সমাধান বা বিবৃতি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এদিকে, অবরোধের কারণে রেলওয়ের প্রতিদিন হাজার হাজার টাকার রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
যাত্রীরা আশা করছেন, দ্রুত ট্রেন পরিষেবা চালু করে তাদের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে। তবে আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” চালু না করা পর্যন্ত তারা রেলপথ ছাড়বেন না। সরকার ও রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।