Your Ads Here 100x100 |
---|
মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সাঈদ ইকবাল রুবেলের বাড়িতে ২ দিন যাবৎ বিয়ের দাবিতে অনশন করেছেন পাশের বাড়ির দূর সম্পর্কের চাচি। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পুঠিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড তারাপুর এলাকার পশ্চিমকান্দা গ্রামে এ ঘটনাটি ।
অভিযুক্ত সাঈদ ইকবাল রুবেল (৪০) সদর ইউনিয়নের পশ্চিমকান্দা গ্রামের মিস্টার হীরার ছেলে এবং ভুক্তভোগী নারী দুই সন্তানের জননী একই গ্রামের পাশের বাড়ির অভিযুক্ত রুবেলের দূর সম্পর্কের চাচি।
স্থানীয় সৌখিন হোসেন বলেন, মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রুবেল মেম্বারের নিজ বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ভুক্তভোগ নারী। তবে ঘটনার দিন থেকেই পালাতক রয়েছেন রুবেল। দীর্ঘদিন ধরে চাচির সঙ্গে রুবেলের অনৈতিক সম্পর্ক হয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে ভুক্তভোগীকে নারীকে তাড়িয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করে বলেন, রুবেল আমার দূর সম্পর্কে ভাসুরের ছেলে। গত চার বছর ধরে রুবেলের সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়ে আসছে। রুবেল আমাকে বিয়ের পলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ভোগ করছে। ঈদের পর আমাদের বিয়ের কথা ছিল। আমি তাকে বিয়ে করতে বললে সে আমাকে অস্বীকার করে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে। ২ দিন আগেও পুঠিয়াতে রুবেল এর সাথে আমার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে। এখন আমার একটাই দাবি রুবেলকে আমাকে বিয়ে করতে হবে।
তবে এসব বিষয়ে ইউপি সদস্য সাঈদ ইকবাল রুবেলের বক্তব্য নিতে তার নিজ বাসায় গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। একাধিকবার তার মুঠোফোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে পুঠিয়া সদর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শাহাবুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি যে গত দুইদিন যাবত ৫নং ওয়ার্ড মেম্বারের বাড়িতে তার চাচি বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে আমরা ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার (ওসি) কবির হোসেন জানান, বিষয়টি পুরোপুরি জানেন পুঠিয়া থানার ওসি (তদন্ত) দুলাল হোসেন তার সাথে আপনারা যোগাযোগ করুন।
পরে পুঠিয়া থানার তদন্ত (ওসি) দুলাল হোসেন বলেন, রুবেল মেম্বারের বড় বউ থানায় এসে একটি অভিযোগ করেছেন। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখি, মেম্বারের পাশের বাড়ির এক নারী; যিনি রুবেল মেম্বারের সম্পর্কে চাচি হন, বিয়ের দাবিতে অনশন করছে। আমরা গিয়ে বুঝিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে তার মা ও বোনের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে আসি।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে মেম্বারে বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।