26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

হামলার দায় অস্বীকার; দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পহেলগামের হামলার কয়েক দিন পর ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) হামলার দায় অস্বীকার করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, পহেলগামের ঘটনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটি একটি ভিত্তিহীন ও তড়িঘড়ি করা অভিযোগ। তারা দাবি করেছে, এই অভিযোগ কাশ্মীরের প্রতিরোধ আন্দোলনকে কলঙ্কিত করার জন্য একটি সাজানো প্রচারণার অংশ।

একটি এক্স প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত বিবৃতিতে টিআরএফ জানায়, হামলার পরপরই তাদের একটি সংক্ষিপ্ত ও অনুমোদনহীন বার্তা প্রকাশিত হয়েছিল। অভ্যন্তরীণ তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি একটি পরিকল্পিত সাইবার অনুপ্রবেশের চিহ্ন, যা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার পরিচিত কৌশলের অংশমাত্র।

বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় বাহিনীর অতীত কর্মকাণ্ডেরও সমালোচনা করা হয়। তাঁরা ২০০০ সালে চাট্টিসিংপুরা হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করেছে, যেখানে ভারতীয় বাহিনী ৩৫ জন শিখকে হত্যা করে এবং পরে এর দায় উগ্রপন্থীদের ওপর চাপিয়ে কাশ্মীরে সামরিক দমন-পীড়ন জোরদার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ২০০১ সালে ভারতের পার্লামেন্ট হামলা ঘটনাও ঘটেছিল, যার পর বিশাল সেনা মোতায়েন করা হয় এবং ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার— বিষয়েও সমালোচনা করা হয়েছে। যা ভারতের নির্বাচনের ঠিক আগে পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপানো হয়। অথচ পরে ভারতেরই সাবেক গভর্নর সত্য পাল মালিক ওই ঘটনার গাফিলতি ও রাজনৈতিক ধামাচাপার বিষয়টি ফাঁস করেন।’

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। এছাড়া, হামলায় আহত হন আরও ১৭ জন, যাদের মধ্যে একজন নেপালের নাগরিকও ছিলেন। এই হামলাটি ২০০০ সালের পর কাশ্মীরে সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।

এই হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তীব্র হয়েছে এবং উভয় দেশ একে অপরকে দায়ী করছে, যার ফলে নতুন করে কূটনৈতিক টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

শেখ হাসিনা ফিরে এলে জনগনই ব্যবস্থা নিবে- বিএনপি মহাসচিব

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ফ্যাসিবাদী চরিত্র নিয়ে শেখ হাসিনা আবারো ফিরে...