Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর পদত্যাগ করা উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মো. মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) ছাত্র প্রতিনিধি তুহিন ফারাবির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করেছে সংস্থাটি, জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
রোববার দুপুরে নিয়মিত ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, “যে দুজন উপদেষ্টার এপিএস ও পিও-দের বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এর আগে, সকালে, যুব অধিকার পরিষদ দুদকে একটি স্মারকলিপি জমা দেয়, দাবি জানিয়ে যে তারা উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিও-এর দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করতে। মার্চ টু দুদক কর্মসূচি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে সংগঠনের নেতাকর্মীরা দুদকের দিকে রওনা হন।
এছাড়া, হাইকোর্টের দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাদিম মাহমুদ ও অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলামও প্রায় একই ধরনের অভিযোগ দুটি উপদেষ্টার বিরুদ্ধে দাখিল করেন। অভিযোগের মধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (ছাত্র প্রতিনিধি) ডা. মাহমুদুল হাসানের নামও রয়েছে।
এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক বলেন, “এই দুর্নীতির অভিযোগ আমাদের নজরে এসেছে এবং আমরা ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছি। দুদক যেকোনো জাতীয় অভিযোগের বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ এবং আমাদের গোয়েন্দা ইউনিট সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই এই বিষয়ে অগ্রগতি জানানো হবে।”
এছাড়া, গত ২৫ এপ্রিল, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান যে তিনি তার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ওঠা নানা অভিযোগের বিষয়ে দুদককে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।