22 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫

রাজশাহীতে পদ্মা নদীর পানি

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

রাজশাহীর বাসিন্দাদের ক্রমবর্ধমান সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে পদ্মা নদীর পানি শোধন করে সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী ওয়াসা। চীনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের সহায়তায় ইতোমধ্যে প্রকল্পের কাজের ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৭ সালের মধ্যে দৈনিক ২০ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আশা করছেন, ২০২৭ সালের জুনের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে।

সোমবার প্রকল্প এলাকার নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, এই প্রকল্পটি শুধু সুপেয় পানি সরবরাহ করবে না, বরং স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

স্থানীয় সরকারের যুগ্ম সচিব মো. সাইফুল ইসলাম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ বিভিন্ন পানির সংকটে পড়ছে। আগামী ৫০-১০০ বছরে পানি সংকট সমাধানে কাজ করছে সরকার। তিনি আশা করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজশাহীর বাসিন্দারা বিশুদ্ধ পানি পাবেন এবং দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

রাজশাহী ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রেজাউল আলম সরকার জানান, প্রকল্পটি রাজশাহীর পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কাটাখালি, নওহাটা এবং গোদাগাড়ির ৩০টি ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিরাপদ সুপেয় পানি পাবেন।

এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬২ কোটি টাকা, যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার ১,৭৪৮ কোটি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান ২,৩১৩ কোটি টাকা অর্থায়ন করবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের মাধ্যমে পানির কাভারেজ শতভাগে উন্নীত করা হবে এবং জন প্রতি দৈনিক পানির ব্যবহার ৬৫ লিটার থেকে ১৪০ লিটারে উন্নীত হবে।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ইতিহাস সংরক্ষণে অধিদপ্তর গঠন

নিউজ ডেস্ক : গণ-অভ্যুত্থান ইতিহাস সংরক্ষণ, নিহতদের পরিবার ও আহতদের পুনর্বাসন এবং এর আদর্শকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকার গঠন করেছে...