Your Ads Here 100x100 |
---|
গণতন্ত্রের স্বপ্ন যদি সত্যিই বাস্তবায়নের পথে হাঁটে, তবে সেই পথ হবে দলগুলোর ঐক্য—এমন অভিমত প্রকাশ করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, “রাজনীতির প্রাঙ্গণে বহু বিষয়ে আমাদের মধ্যে মিল আছে, আবার কিছু বিষয়ে রয়েছে মতভেদ। কিন্তু মতপার্থক্য থাকাটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। আমরা এক ভাষায় কথা বলব না, সেটিই স্বাভাবিক; কিন্তু আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য এক—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন। এই লক্ষ্যেই আমরা ঐক্যবদ্ধ, এবং সেই ঐক্যের শক্তির ওপরই নির্ভর করবে আমাদের সাফল্য।”
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন বলেও মন্তব্য করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “এই সংলাপ কেবল কথোপকথন নয়, এটি একটি অঙ্গীকার—যারা জীবন দিয়েছেন, যারা সংগ্রামে আহত হয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা। সেই দায় থেকেই আমরা এই রাষ্ট্রকে নতুনভাবে বিনির্মাণের পথে হাঁটতে চাই।”
কমিশনের লক্ষ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্রের জন্য যে লড়াই চলছে, বিশেষ করে বিগত ১৬ বছরের দমনমূলক শাসন দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাণশক্তিকে নিঃশেষ করে দিয়েছিল। সেই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে গণতান্ত্রিক শক্তিরা লড়েছে, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ছিল তাদের অন্যতম। এখন সময় এসেছে এই লড়াইকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার।”
অধ্যাপক রীয়াজ আরও বলেন, “আমরা চাই একটি জাতীয় সনদের জন্ম হোক, যার ভিত্তি হবে সামষ্টিক ঐক্য ও প্রত্যয়ের প্রকাশ। এটি শুধু কমিশনের আকাঙ্ক্ষা নয়, এটি সময়ের দাবি এবং জনগণের প্রত্যাশা। স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো আমরা সকলে মিলে বসেছি একটি ভবিষ্যৎ খুঁজে নিতে। এই পথচলা সহজ হয়নি—কমপক্ষে ১৪ শত প্রাণের আত্মত্যাগেই সম্ভব হয়েছে এই মুক্ত উচ্চারণ।”
সংলাপের এই আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান।