Your Ads Here 100x100 |
---|
বাংলাদেশের ক্রিকেটে উদ্বোধনী জুটি যেন এক দীর্ঘশ্বাসের নাম। প্রতিবার এক অঙ্কে প্রথম উইকেটের পতন—দীর্ঘদিন ধরে দেখা এই চিত্র বদলায়নি এতটুকু। তবে, সেই পরিচিত বিষাদের পর্দা সরে দাঁড়াল চট্টগ্রামে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে। সাদমান ইসলাম আর এনামুল হক বিজয়ের দৃঢ় ব্যাটে ৩৩ ইনিংস পর শতরানের দেখা পেলো টাইগাররা।
টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনটা হয়ে উঠল বাংলাদেশের দখলে। ২৬ ওভারে বিনা উইকেটে তুলল ১০৫ রান—নির্ভার, স্বস্তির নিশ্বাস এনে দিলো স্বাগতিকদের ডাগআউটে।
ঘরোয়া মঞ্চে ধারাবাহিক সাফল্যের পর অবশেষে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল এনামুল হক বিজয়ের। আজ তার ব্যাটে ঝরে পড়ল সেই প্রত্যাশার নীরব উত্তর। তিনি ছিলেন আজ সঙ্গী—সাদমান ইসলামের নিবিড় সাথী। আর ইনিংসের ছন্দ ও নেতৃত্বে ছিলেন সাদমান নিজেই।
কখনো ছোঁ মেরে খেলেছেন, কখনো বলের গায়ে রেখেছেন অদ্ভুত মায়া। বাজে বলকে পাঠিয়েছেন বাউন্ডারি পেরিয়ে, স্ট্রাইক ঘুরিয়েছেন হিসেব করে। ৭৮ বল খেলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি—গত বছর পাকিস্তান সফরের পর যা তার চতুর্থ ফিফটি।
তাদের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ আবারও ফিরেছে ওপেনিং জুটিতে ফিফটির ঘরে—চেন্নাই টেস্টের পর প্রথমবার। এরপর এসেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বস্তি, ৩৩ ইনিংস পর শতরান। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে শান্ত ও জাকির হাসানের ১২৪ রানের পর এই প্রথম আবার শতরানের জুটি। ইতিহাসের পাতায় যোগ হলো আরেকটি আশাব্যঞ্জক অধ্যায়।
এর আগে বল হাতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। মাত্র ৬০ রানে ছয় উইকেট তুলে নিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপ, থামিয়ে দেন ২২৭ রানে। সেই সাফল্যের পর সাদমান ও বিজয়ের দৃঢ়তায় এগিয়ে গেল বাংলাদেশ, জয়ের পথ করল উজ্জ্বল।