Your Ads Here 100x100 |
---|
নাম তাঁর আশরাফ উদ্দিন আহমেদ উজ্জ্বল, কিন্তু বাংলার মানুষের হৃদয়ে তিনি চিরকাল ‘নায়ক উজ্জ্বল’। এক সময় এই তারকাকে বলা হতো ‘মেগাস্টার’। ১৯৭০ সালে কবরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে তার প্রথম চলচ্চিত্র বিনিময় মুক্তি পায়—আর সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর রূপালী যাত্রা।
নায়ক, প্রযোজক ও পরিচালক—তিন জায়গাতে রেখেছেন সমান প্রতিভার ছাপ। শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করে তিনি হয়ে উঠেছেন এক প্রজন্মের ভালোবাসা, আরেক প্রজন্মের প্রেরণা। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর তালিকা যেন একেকটি সময়ের দলিল—অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী, নসিব, লালন ফকির, কাঁচের স্বর্গ, পায়ে চলার পথ, শনিবারের চিঠি, ফকির মজনু শাহ, নিজেরে হারায়ে খুঁজি, বীরাঙ্গনা সখিনা, এবং বাংলার মুখ—এ তালিকা দীর্ঘ, গর্বের।
আজ ২৮ এপ্রিল, এই কিংবদন্তির ৭৮তম জন্মদিন।
জন্মদিনের সকাল থেকেই ভক্ত, বন্ধু আর শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসায় ভিজে উঠেছেন তিনি। ডেইলি স্টারকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে নায়ক উজ্জ্বল জানালেন, ‘গত রাত থেকেই ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছি। শুভেচ্ছায় ভরে উঠেছে দিন। পরিবারের সঙ্গে কেক কেটেছি। আজও হয়েছে কেক কাটা, এসেছে কাছের মানুষরা। এই ভালোবাসা সত্যিই অনন্য।’
এই বিশেষ দিনকে ঘিরে তাঁকে নিয়ে টিভি চ্যানেলগুলো সম্প্রচার করছে তাঁর অভিনীত চলচ্চিত্র ও গান। এ নিয়ে উজ্জ্বল বলেন, ‘যে সিনেমা একবার দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেয়, তা সময় পেরিয়ে গেলেও মুছে যায় না। আমাদের সোনালি দিনের চলচ্চিত্রগুলো ঠিক তেমনই—দর্শকের হৃদয়ে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।’
তিনি মনে করেন, শিল্পীর অমরত্ব তার কর্মেই। “কর্মই মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে,” বললেন তিনি। “ভালোবাসাই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। এটাই তো জীবনের সার্থকতা।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অবস্থায় প্রয়াত সুভাষ দত্তের চোখে পড়েন তিনি, আর তখনই পেয়ে যান নায়কের সুযোগ। প্রথম ছবিতেই পাশে ছিলেন কবরী। এরপর শাবানা, ববিতা, সুচরিতা, রোজিনা—সবাই ছিলেন তার সহযাত্রী। তিনি জানান, প্রতিটি সহ-অভিনেতার সঙ্গেই ছিল সম্মান ও সৌহার্দ্যের সম্পর্ক।
নায়ক আলমগীরের সঙ্গে এখনো তার দারুণ বন্ধুত্ব। “প্রায় প্রতিদিন কথা হয় আমাদের,” বলেন উজ্জ্বল। “আমার বাসা হোক বা তার অফিস—আড্ডা আমাদের নিয়মিত। এই আন্তরিকতাই জীবনের সৌন্দর্য।”
শেষ প্রশ্নে জানালেন তাঁর আশা: “সিনেমার হারানো গৌরব আবার ফিরে আসবে। দরকার ভালো সিনেমা, দরকার আরও সিনেমা হল। আমি আশাবাদী।