ইত্তেফাকে বিসিবির আইনি নোটিশ

স্বেচ্ছাচারিতা ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে প্রকাশিত প্রতিবেদন ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সংবাদপত্র ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর সম্পাদক ও প্রকাশকের কাছে তিন দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে নোটিশে।

সোমবার, ২৮ এপ্রিল পাঠানো ওই আইনি নোটিশে বলা হয়, ‘দৈনিক ইত্তেফাক’-এর ২৪ এপ্রিলের দ্বিতীয় সংস্করণে প্রথম পৃষ্ঠা এবং ছয় নম্বর পৃষ্ঠার পাঁচ নম্বর কলামে প্রকাশিত “স্বেচ্ছাচারিতায় জিম্মি বাংলাদেশ, কমছে মান, আসছে না কাঙ্ক্ষিত ফল” শীর্ষক প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে বিসিবি এবং এর সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টার অভিযোগ তোলা হয়েছে।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই প্রতিবেদনে বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে বোর্ডের বিপুল পরিমাণ ফিক্সড ডিপোজিটের অর্থ ‘সমস্যাগ্রস্ত’ ব্যাংকে স্থানান্তর করার যে দাবি তোলা হয়েছে, তা বানোয়াট ও তথ্যবিকৃত। কোনো যাচাই-বাছাই ছাড়াই এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে, যা দেশের ক্রিকেটের সম্মান ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।

বিসিবির দাবি, প্রতিবেদনের তথ্যসূত্র ছিল অবিশ্বস্ত, এবং এর উদ্দেশ্য ছিল নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা। সংস্থাটি জোর দিয়ে বলেছে, তারা সবসময় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নীতিতে অটল রয়েছে।

একদিকে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা, অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি—এই দ্বন্দ্বে এবার আইনি লড়াইয়ের আভাস। সময় বলবে, এর সমাধান মিলবে মীমাংসায়, না কি আবারও উত্তপ্ত হবে কথার প্রহর।