Your Ads Here 100x100 |
---|
কাশ্মীরের পেহেলগামে ঘটে যাওয়া অস্থিরতার পর থেকে ভারত যেন নিঃশব্দে বদলে যেতে শুরু করেছে। ঘটনাটির ছায়া শুধু পাহাড়ে সীমাবদ্ধ থাকেনি, তার দীর্ঘ ছায়া আজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। টার্গেট হয়ে উঠেছে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়—ভারতের মুসলিম নাগরিকরা। বিগত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মুসলিমদের বাড়িঘরে হামলা, শারীরিক নির্যাতন ও নানামুখী নিপীড়নের খবর যেন দৈনন্দিন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে।
যদিও এই হামলার দায় আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তানের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে, তবুও কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের চোখে যেন মুসলমানই একমাত্র ‘অভ্যন্তরীণ শত্রু’। প্রশ্ন উঠছে—এ কি কেবল প্রতিশোধ, নাকি এর পেছনে রয়েছে আরও গভীর, সুপরিকল্পিত উদ্দেশ্য? সন্ত্রাস কি আদৌ কোন ধর্মকে বহন করে?
এই আবছা আলো-ছায়ার সময়েই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তাঁর সিনেমা ‘গ্রাউন্ড জিরো’—যার প্রেক্ষাপটও কাশ্মীর—নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসের কোনো ধর্ম হয় না। তা বিকৃত আদর্শের ফসল, কোনো ধর্মগ্রন্থে এর অনুমোদন নেই।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি আশা করছি ভারত সরকার পেহেলগামে ঘটনার যথাযথ জবাব দেবে। কিন্তু সেই জবাব যেন সমগ্র জনগোষ্ঠীকে দায়ী করে না হয়।
এই প্রসঙ্গেই উঠে আসে আরেকটি বিতর্ক—পেহেলগামে নিরাপত্তার ঘাটতি। ইমরান হাশমির মতে, “এত গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যটনকেন্দ্রে নিরাপত্তা আরও কড়া হওয়া উচিত ছিল। হামলাকারীরা নিঃসন্দেহে পরিকল্পনা করেই এসেছিল। তাদের নিশানায় ছিল নিরীহ মানুষ, পর্যটকেরা—যারা যুদ্ধ নয়, শুধু প্রকৃতি দেখতে এসেছিলেন।
পেহেলগামে ঘটনাটি কেবল একটি হামলা নয়—এ যেন একটা অদৃশ্য বার্তা, যা পড়ে ফেলেছেন বলিউডের আরও কিছু মুখ। অক্ষয় কুমার বলেন, “ঘটনাটি শুনে হতবাক হয়ে গিয়েছি। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তারা তো কেবল পর্যটক ছিলেন।
অন্যদিকে, উরির ঘটনার সিনেমায় অভিনয় করা ভিকি কৌশল বলেন, “যারা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাদের যন্ত্রণা ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়।