28 C
Dhaka
সোমবার, জুন ১৬, ২০২৫

ঢাকায় হয়ে গেল শীতকালীন উৎসব ‘অসম্ভবের অনুভবে’

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সাংস্কৃতিক শূন্যতা এবং টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, আর এই শূনতা পূর্ণ করে তোলার তাগিদও দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার দিনব্যাপী শীতকালীন কবিতা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনু মুহাম্মদ তার এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের দুঃশাসনে একটা জনবিষণ্নতা তৈরি হয়েছিল, জুলাই আন্দোলনে পর দেখা দিয়েছে এক ধরনের সাংস্কৃতিক শূন্যতা। এই সাংস্কৃতিক শূন্যতাকে পূর্ণ করতে হবে।”

বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘অসম্ভবের অনুভবে’ শিরোনামের এই আয়োজনকে অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন আনু মুহাম্মদ।

‘সংস্কৃতিবাংলা’ নামে একটি সংগঠন আয়োজিত উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে অধ্যাপক খালিকুজ্জামান ইলিয়াস বলেন, “এখনকার কবিতার ভাষা, উপমা ও উৎপ্রেক্ষা অনেক বেশি সরে এসে আরো বেশি ধারালো ও লক্ষ্যভেদী হয়েছে।”

কারো কারো লেখায় তীব্র শ্লেষ ও বিদ্রূপের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন স্যাটায়ারিক্যাল লেখার সময় এসেছে।

বাংলা কবিতার এই সময়ের বিভিন্ন ধারার চল্লিশ জনের মতো কবির উপস্থিতি ছিল উৎসবে।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- লেখক ও সাংবাদিক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ।

উদ্বোধনী অধিবেশনে কবিতা পড়েন হিজল জোবায়ের, মোস্তফা হামেদী, ইমরান মাহফুজ, হাসনাত শোয়েব, জব্বার আল নাঈম, পলিয়ার ওয়াহিদ, উম্মে হাবীবা মায়া, শৈবাল নূর, দীপংকর মারডুক ও রাজিয়া সুলতানা নুরিন।

বিকাল ৩টার অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন- কবি ও সমালোচক সোহেল হাসান গালিব, চঞ্চল আশরাফ, নুরুল আলম আতিক ও শাহমান মৈশান।

কবিতা পাঠ করেন- কুমার চক্রবর্তী, রাজু আলাউদ্দিন, সাখাওয়াত টিপু, আলফ্রেড খোকন, ফেরদৌস মাহমুদ, তুষার কবির, আশরাফ জুয়েল, নাদিম মাহমুদ, সালেহীন শিপ্রা ও মিঠুন রাকসাম।

সন্ধ্যার অধিবেশনে কবিতা পাঠ করেন জেনিস মাহমুন, টোকন ঠাকুর, চঞ্চল আশরাফ, মাহবুব কবির, আহমেদ মুনির, মুক্তি মণ্ডল, জাহানারা পারভীন, সোহেল হাসান গালিব, জুয়েল মোস্তাফিজ ও সুমন সাজ্জাদ।

সবশেষ অধিবেশনটিতে আলোচক ছিলেন রাজু আলাউদ্দিন ও অধ্যাপক মাসউদ ইমরান মান্নু।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন প্রশ্নের পাহাড়

ক্রিকেট ডেস্ক : আইসিসি ফাইনাল মানেই অস্ট্রেলিয়ার জয়—এটা যেন নিত্যনিয়মে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে সেই নিয়মে...