Your Ads Here 100x100 |
---|
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত হয়নি, ঘোষিত হয়নি কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপও। তবে সম্ভাব্য সময় হিসেবে ধরা হচ্ছে চলতি বছরের ডিসেম্বর। এই সম্ভাব্য সময়সীমা সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক দলগুলো। মাঠে নেমেছেন নেতারা, চলছে গণসংযোগ, চলছে নানা কর্মসূচি।
নির্বাচনি প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই বিএনপির মিত্রদলগুলোও। যদিও এখনো আসন সমঝোতা হয়নি, তবুও শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার পর থেকেই নিজ নিজ এলাকায় ব্যস্ত সময় পার করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তারা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সামাজিক ও জনসম্পৃক্ত কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন, দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতিও।
নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করলে তবেই আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হবে। তার আগেই জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো ও মাঠ প্রস্তুতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। জনগণের চাওয়া ও দাবি-দাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচনি পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জানিয়েছেন—জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। তবে এখনো রোডম্যাপ প্রকাশ না হওয়ায় জোট ও আসন সমঝোতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তিনি বলেন, “মিত্রদলগুলোর সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক সুদৃঢ় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণেও আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব।”
মিত্রদলগুলোর শীর্ষ নেতারাও বলছেন, নির্বাচন যদি জোটগতভাবে হয়, তবে অন্তত রাজধানী ঢাকায় তারা তিনটি আসন দাবি করবেন। তাদের প্রত্যাশা, দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করবে সরকার, যাতে করে পুরোপুরি নির্বাচনি কর্মকাণ্ড জোরদার করা যায়।