Your Ads Here 100x100 |
---|
কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ ভারতীয় পর্যটক নিহত হওয়ার পর পাক-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে একাধিকবার ফোনালাপ হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১ মে) ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। যদিও এই আলাপের বিস্তারিত এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগের দিন (বুধবার) ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের সঙ্গে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। জয়শঙ্কর পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার বিষয়টি তুলে ধরেন এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। রুবিও এসময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখতে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করার পরামর্শও দেন তিনি।
এদিকে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, উরি এবং আখনূর সেক্টরে সাত দিন ধরে টানা গুলি বিনিময় চলছে। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।
এমন সময় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এরইমধ্যে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পাশাপাশি চীনের লাহোরস্থ কনসাল জেনারেল ঝাও শিরেন বলেন, “যেকোনো পরিস্থিতিতে চীন পাকিস্তানের পাশে থাকবে।” তিনি লাহোরে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই বার্তা দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিশেষত যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অবস্থান পরবর্তী কূটনৈতিক চালচিত্র নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলবে।