Your Ads Here 100x100 |
---|
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে সরকারি কাজের কথা বলে রওনা দেওয়া একটি ট্রলার ও তার তিন মাঝিমাল্লার খোঁজ মিলছে না। ট্রলারটিতে সিমেন্ট, বালি ও টিনসহ বিভিন্ন মালামাল ছিল। বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ট্রলারটি সেন্টমার্টিনে না পৌঁছানোয় পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অনুমতি দেওয়া হয়েছিল মাত্র ২০ ব্যাগ সিমেন্ট নেওয়ার, অথচ ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে ৪০০ ব্যাগ সিমেন্ট ট্রলারে তোলা হয়। অভিযোগ উঠেছে, এ ঘটনায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির (বিএমসিএফ) সদস্য আশিকুর রহমান, সাবেক ইউপি সদস্য আক্তার কামালসহ একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট জড়িত।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দিন জানান, “২০ ব্যাগ সিমেন্টসহ কিছু মালামালের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তদন্তে দেখা যাচ্ছে সেটিকে ভুয়া বানিয়ে বিশাল পরিমাণ সিমেন্ট পাচার করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আশিকুর রহমান বলেন, “আমি অনুমতি পেয়েছিলাম, কিন্তু পরে শুনেছি তা ভুয়া বানিয়ে পাচারে ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এতে জড়িত নই, একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে।”
তবে কেফায়েত উল্লাহ নামের এক ব্যক্তি স্বীকার করেছেন, সাবেক ইউপি সদস্য আক্তার কামালের দেওয়া অনুমতি কাগজের ভিত্তিতে তিনিই ট্রলারে মাল তোলেন। তার কথায়, “আমি পরে শুনেছি ট্রলারটি মিয়ানমারে সিমেন্ট পাচার করেছে।”
খায়ুককালী ঘাটের মাঝি আবদুল আলীম ও বোট মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ জানান, দীর্ঘদিন ধরেই একটি চোরাকারবারি সিন্ডিকেট মিয়ানমারে অবৈধভাবে মালামাল পাচার করছে। এবারের ঘটনাও তারই অংশ বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এ ঘটনায় শুধু সরকারি মালপত্র নয়, মানুষের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। নিখোঁজ মাঝিমাল্লাদের উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ ও চোরাচালান সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।