26 C
Dhaka
শনিবার, মে ৩, ২০২৫

আবরার হত্যা: সব আসামির মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন বহাল, হাইকোর্টের রায়

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100
নিউজ ডেস্ক :

আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। এতে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। শনিবার (৩ মে) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

গত ১৬ মার্চ বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মোজাহিদুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, শামীম বিল্লাহ, মাজেদুর রহমান মাজেদ, খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান, এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান, শামছুল আরেফিন রাফাত, উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ এবং এস এম মাহামুদ সেতু।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন—
ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না, আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা, সদস্য আকাশ হোসেন এবং মোয়াজ আবু হোরায়রা।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন ভোররাতে হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন।

২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

রায়ের পর কারাগারে থাকা দণ্ডিতরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন। ২০২২ সালের ২৬ জানুয়ারি হাইকোর্ট পৃথক জেল আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে। ডেথ রেফারেন্স, জেল আপিল ও আপিলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শুরু হয়।

২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষ পেপারবুক উপস্থাপন করে শুনানি শুরু করে, যা গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ধারাবাহিকভাবে চলে এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়।

এদিকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায় বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি গত ২৫ ফেব্রুয়ারির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

সংস্কৃতির মঞ্চে রাজনীতির ঝড় : এবার কড়া প্রতিবাদ জানালেন হানিয়া আমির

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখনই রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া ঘনিয়ে আসে, তার কাঁপুনি প্রথমেই লাগে সংস্কৃতির মঞ্চে। ২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে ভয়াবহ...