Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক :
শনিবার (৩ মে) ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব সাজেদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
বক্তব্যের শুরুতে তিনি ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, এবং ২০১৩ সালের জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় শহীদ হওয়া ৮৪ জন মাদরাসা ছাত্র ও শিক্ষকসহ সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং তাদের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি শহীদ পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান এবং আহতদের জন্য দোয়া করেন।
সাজেদুর রহমান বলেন, “দেশের চলমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা আজকের এই মহাসমাবেশে হাজির হয়েছি। এই সম্মেলন থেকে হেফাজতের পক্ষ থেকে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি তুলে ধরছি।”
হেফাজতের ঘোষণা করা দাবি গুলো:
১. নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ও তাদের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে পশ্চিমা মূল্যবোধের পরিবর্তে ইসলামী সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ অনুসরণ করতে হবে।
২. সংবিধানে “আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস” পুনঃস্থাপন করতে হবে। এছাড়া ‘বহুত্ববাদী’ ধারণা থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে এবং এলজিবিটি ও ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি ধর্মবিরোধী সমর্থন বন্ধ করতে হবে।
৩. শাপলা ও জুলাই গণহত্যার বিচারে গতি আনতে ট্রাইব্যুনালের সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের ফ্যাসিস্ট নেতাদের বিচার শেষ করতে হবে।
৪. গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করতে হবে এবং তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে হবে।
৫. আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর নামে কটূক্তি ও অবমাননা বন্ধ করতে সর্বোচ্চ শাস্তির আইন চালু করতে হবে। ধর্ম অবমাননা সংক্রান্ত আইনি ধারাগুলো বাতিল করা উচিত।
৬. চট্টগ্রামে শহীদ সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার উসকানিদাতা চিন্ময় দাসের জামিন প্রত্যাহারপূর্বক তার বিচার করতে হবে।
৭. প্রতিবাদী আলেম-ওলামা, মাদরাসা শিক্ষার্থী ও ইসলামমনা তরুণদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে হওয়া নির্যাতনের বিচার করতে হবে।
৮. গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরাইলের চলমান গণহত্যা এবং ভারতে মুসলিম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে কূটনৈতিকভাবে আরও উচ্চকণ্ঠ হতে হবে। দেশের জনগণকে ইসরাইলি ও ভারতীয় পণ্য বয়কটের আহ্বান জানাতে হবে।
৯. শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
১০. রাখাইনকে ‘মানবিক করিডর’ প্রদানে সরকারের সম্মত হওয়া সম্পূর্ণরূপে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত, যা থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে।
১১. চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলে ভিনদেশি মিশনারীদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে সরকারের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
১২. কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে এবং মুসলমানদের ঈমান-আকিদা রক্ষার্থে তাদের অপতৎপরতা বন্ধ করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা:
১. নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আগামী তিন মাসের মধ্যে বিভাগীয় সম্মেলন করা হবে।
২. আগামী ২৩ মে ২০২৪, বাদ জুমা দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।