Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক :
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশকে একটি ‘ম্যানুফ্যাকচারিং হাব’ হিসেবে গড়ে তোলা। এই বিষয়টি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম মন্তব্য করেছেন যে, “বাংলাদেশ এখন যে অবস্থানে রয়েছে, যদি নতুন করে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হয়, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের জন্য যারা চাকরি খুঁজছে, তবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি আরও উচ্চতায় নিতে হলে, দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে গড়ে তুলতে হবে।”
শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ এবং সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান প্রমুখ।
শফিকুল আলম আরও বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য নয়, বরং পুরো রিজিওনের ৩০-৪০ কোটি মানুষের জন্য হবে। যেসব পণ্য এখানে উৎপাদিত হবে, সেগুলি কেবল বাংলাদেশ ও আশেপাশের দেশগুলিতে বিক্রি হবে না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও রপ্তানি হবে। রপ্তানির জন্য একটি সক্ষম বন্দর প্রয়োজন।”
তিনি চট্টগ্রাম বন্দর এবং তার টার্মিনালগুলির উন্নতির গুরুত্ব তুলে ধরেন, “চট্টগ্রামের বর্তমান পোর্ট সিস্টেমকে আরও সক্ষম করতে হবে, যাতে প্রচুর পরিমাণে পণ্য রপ্তানি করা সম্ভব হয়। চট্টগ্রামের টার্মিনালগুলোর মধ্যে লালদিয়া, বে টার্মিনাল, পতেঙ্গা টার্মিনাল, মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর—এই পুরো অঞ্চলই বন্দর পরিচালনার জন্য উপযোগী।”
শফিকুল আলম উদাহরণ দিয়ে বলেন, “যদি একজন আমেরিকান রপ্তানিকারক বাংলাদেশে পণ্য উৎপাদন করে তা আমেরিকায় নিয়ে যেতে চান, তিনি অবশ্যই চাইবেন যে, এটি দ্রুত সম্পন্ন হোক। কারণ এখানে উৎপাদন খরচ কম এবং শ্রম খরচও কম। দ্রুত রপ্তানির জন্য, বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
চট্টগ্রাম বন্দর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর ও তার আশপাশের টার্মিনালগুলোর সক্ষমতা ১.২৭ মিলিয়ন টিইইউএস কনটেইনার (২০ ফুট দীর্ঘ)। সরকার পরিকল্পনা নিয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৭৮ লাখ ৬০ হাজার টিইইউএসে উন্নীত করার, যা ছয় গুণ বেশি হবে। চট্টগ্রাম বন্দরকে বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এই উন্নয়ন অপরিহার্য।”
এ সময়, দেশি অপারেটরদের টার্মিনাল হ্যান্ডলিংয়ের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “যে পরিমাণ বিনিয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন, তা দেশের অভ্যন্তরীণ সক্ষমতার বাইরে। উন্নত বিশ্বের অনেক বড় বন্দর তাদের অভিজ্ঞ প্রাইভেট কোম্পানির হাতে পরিচালনা দিয়েছে, এবং আমাদেরও এ ধরনের বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করতে হবে।”
তিনি মানবিক করিডোর বিষয়েও কথা বলেন, “আমরা মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আগ্রহী, তবে ইউএন এর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে। বিষয়টি দুটি দেশের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে হবে, এবং ইউএন মায়ানমার সরকার ও আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে।”