Your Ads Here 100x100 |
---|
স্পোর্টস ডেস্ক :
দেশের ক্রিকেটের আলো-আঁধারির এক দীর্ঘ ছায়ায় ফের মুখ খুললেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। আজ শনিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংগঠক সমিতির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি তুলে ধরেন দেশের ক্রিকেট প্রশাসনের এক বিবর্ণ বাস্তবতা।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল একটি প্রশ্ন—ক্রিকেট বোর্ডে আসলে কারা আছেন, আর কেন আছেন?
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, এবং জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক আমিনুল ইসলামসহ অন্যান্য ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। কিন্তু তামিমের কণ্ঠে ফুটে উঠল কেবল অভিজ্ঞতা নয়, একান্ত আর্তি।
“আমার অনুরোধ থাকবে—যারা জেলা বা বিভাগ থেকে বোর্ডে যাচ্ছেন, তারা যেন হন ক্রিকেটের প্রকৃত কর্মী। যাদের ভেতর আছে কাজ করার তাগিদ, আর স্বপ্ন আছে এই খেলাটাকে এগিয়ে নেওয়ার।”
এ বক্তব্যের পেছনে ছিল হতাশার একটি আবরণ, যেখানে বোর্ডের অনেক পরিচালকের ওপর রয়েছে সরাসরি অভিযোগ—নিজ জেলার ক্রিকেটকে অবহেলা করা, দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া।
“আমাদের ডিসিশন মেকার কারা? আমাদের প্রতিনিধি কারা? বোর্ডে যারা আছেন, তাদের ক্রিকেট নিয়ে বোঝাপড়াটা আসলে কী? বোর্ডে থেকে কেউ যদি নিজের জেলার ক্রিকেটকে খুঁজেও না পান, তাহলে প্রশ্ন উঠবে—তারা কেন এই অবস্থানে?”
সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সফরে গিয়ে তামিমের দেখা অভিজ্ঞতা যেন এসব প্রশ্নের উত্তর নিজের ভেতরেই ধারণ করছে। বরিশালের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন—
“সেখানে গিয়ে দেখলাম, একটিও মানসম্মত লিগ নেই। এমনকি কোথাও ক্রিকেটের অস্তিত্বই নেই। এটা কষ্ট দেয়।”
সবশেষে, তার কণ্ঠে ধ্বনিত হয় একটি সরাসরি বার্তা—
“যারা নিজেদের জেলার ক্রিকেটে শূন্য অবদান রেখেছেন, তাদের বোর্ডে থাকারও কোনও অধিকার নেই। ক্রিকেট এ দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। তাই যদি এ খেলারই এই হাল হয়, তাহলে আমাদের ভাবার সময় এসেছে—বোর্ড পরিচালকদের জায়গাগুলো কতটা সঠিক মানুষের দখলে আছে।”
তামিম ইকবালের এই বক্তব্য শুধু একজন সাবেক অধিনায়কের ক্ষোভ নয়, বরং একটি দীর্ঘ সময় ধরে গড়ে ওঠা সমস্যার অদৃশ্য ছায়ার ইঙ্গিত। প্রশ্ন রয়ে গেল—এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কে দেবে?