Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গোয়ার একটি হিন্দু মন্দিরে জনসমাগমে পদদলিত হয়ে অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৮০ জন। শুক্রবার রাতে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে গোয়ার শিরগাঁও গ্রামে অবস্থিত জনপ্রিয় শ্রী লাইরাই দেবীর মন্দিরে, যেখানে হাজার হাজার ভক্ত বার্ষিক শ্রী লাইরাই যাত্রা উৎসবে অংশ নিতে জড়ো হয়েছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, সংকীর্ণ গলিপথ দিয়ে মন্দিরমুখী ভক্তদের ভিড় এক পর্যায়ে চরমে পৌঁছালে একটি ঢালু জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন হঠাৎ পড়ে যায়। এতে পেছনের মানুষজনও একে অপরের ওপর পড়ে গিয়ে ভিড়ের চাপে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
এই উৎসবটি মূলত আগুনের ওপর দিয়ে হাঁটার আচার-অনুষ্ঠানের জন্য বিখ্যাত, যেখানে ভক্তরা পুড়ে যাওয়া কয়লার বিছানার ওপর দিয়ে খালি পায়ে হাঁটে দেবীর আশীর্বাদ লাভের আশায়।
গোয়ার পুলিশ মহাপরিচালক আলোক কুমার জানান, পদদলনের সূত্রপাত হয় ঢালু এলাকায় ভক্তদের একে অপরের ওপর পড়ে যাওয়ার পর।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ন্ত এই দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেন, “এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।” তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান এবং নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে জানান, প্রায় ৮০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা সংকটাপন্ন এবং তারা ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। বাকিদের জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করা ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে বলেন, “যাঁরা প্রিয়জন হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি সমবেদনা।” তিনি আরও জানান, স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করছে।
ভারতে ধর্মীয় উৎসবের সময় জনসমাগমে পদদলনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে, যেখানে সংকীর্ণ স্থানে লাখো মানুষ একত্রিত হন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর প্রদেশে অনুষ্ঠিত বিশাল কুম্ভমেলার সময় এমনই এক ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারান। গত বছরের জুলাই মাসে একই রাজ্যের হাতরাস শহরে একটি তাবু শিবিরে ভিড়ের চাপে প্রাণ হারান ১১৬ জন, যাঁদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির একটি রেলস্টেশনে ভিড়ের চাপে ১৮ জন নিহত হন, যাঁদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।