Your Ads Here 100x100 |
---|
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে যখনই রাজনৈতিক উত্তেজনার ছায়া ঘনিয়ে আসে, তার কাঁপুনি প্রথমেই লাগে সংস্কৃতির মঞ্চে। ২০১৬ সালে কাশ্মীরের উরিতে ভয়াবহ হামলার পর থেকেই বলিউডে নিষিদ্ধ হয়ে পড়েন পাকিস্তানি শিল্পীরা—যেন দুই দেশের কূটনীতির প্রতিচ্ছবি ফুটে ওঠে রূপালি পর্দায়। সময় বদলালেও ইতিহাস যেন বারবার ফিরে আসে।
গত ২২ এপ্রিল, কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার রেশে ফের দুই দেশের সম্পর্কে জমেছে কালো মেঘ। আর তার সরাসরি আঘাতে চূর্ণ হচ্ছে সংস্কৃতির সেতুবন্ধ।
এই টানাপোড়েনের সরাসরি শিকার হয়েছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খান ও অভিনেত্রী হানিয়া আমির। ফাওয়াদ খানের বলিউড প্রজেক্ট ‘আবির গুলাল’-এর মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত, আর হানিয়ার ‘সর্দারজি থ্রি’-তে দিলজিৎ দোসাঞ্জের বিপরীতে তার অংশগ্রহণও পড়ে গেছে অনিশ্চয়তার কুয়াশায়।
কেবল এখানেই থেমে থাকেনি পরিস্থিতি। আলি জাফর, ইমরান আব্বাস, সজল আলী, ইকরা আজিজ, মোমিনা মোহতেসান, সোনম সাঈদসহ বহু খ্যাতনামা পাকিস্তানি শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ভারতে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদের ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে ভিত্তিহীন গুজব।
তেমনই এক গুজবের শিকার হয়েছেন হানিয়া আমির। একটি ভুয়া বিবৃতিতে দাবি করা হয়, তিনি নাকি পেহেলগামের হামলার জন্য পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন হানিয়া। গতকাল ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি লেখেন,
‘সম্প্রতি আমার নামে একটি ভিত্তিহীন বক্তব্য ছড়ানো হয়েছে। আমি এমন কোনো কথা বলিনি। পুরো ঘটনাটিই সাজানো নাটক। এটা অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি সময়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের পরিবারকে আমি গভীর সমবেদনা জানাই। এই সময়ে রাজনীতি নয়, দরকার সহমর্মিতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরমপন্থী বা সন্ত্রাসবাদীদের কাজের দায় কোনো দেশ বা জাতির ওপর চাপানো অনুচিত। প্রমাণ ছাড়া দোষারোপ কেবল বিভেদই বাড়ায়।’