Your Ads Here 100x100 |
---|
নিউজ ডেস্ক :
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিজের একটি কার্টুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষার পাশাপাশি সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই আহ্বান জানান।
পোস্টে, তারেক রহমান ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল নিয়ে মেহেদী হকের একটি কার্টুন শেয়ার করেন। পোস্টটি রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ‘রিঅ্যাকশন’ পায়, এবং ৭ হাজার ৪০০ শেয়ার ও সাড়ে ৪ হাজার ৬০০ মন্তব্য আসে। অনেকেই এই পোস্টের প্রশংসা করেছেন।
তারেক রহমান ফেসবুকে পোস্টে বলেন, “এই বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আসুন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সত্যনিষ্ঠ, নৈতিক দায়িত্ববোধের সঙ্গে কাজ করা সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই।” তিনি আরও বলেন, “সাংবাদিকরা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেন। তাদের কাজকে অবশ্যই রক্ষা ও গ্রহণ করতে হবে, কোনোভাবেই দমন বা সেন্সর করা যাবে না। তবে বাংলাদেশে আমরা সম্প্রতি ক্ষমতাচ্যুত কর্তৃত্ববাদী শাসকের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দমন-পীড়নের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পদ্ধতিগত অবক্ষয় দেখছি।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, অন্ধকার বছরগুলোতে অনেক বাংলাদেশি সাংবাদিক অটল সাহস ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রোথিত দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, আর্থ-সামাজিক ব্যর্থতা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেছেন, যা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সংঘটিত হয়েছিল। এই সাহসী সাংবাদিকরা দেশের ভেতরে-বাইরে, মূলধারার গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সত্য অনুসন্ধানে অবিচল থেকেছেন।
তারেক রহমান বলেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এমন এক নতুন ধারার সাংবাদিকতা থেকে অনুপ্রেরণা নেয়, যা নৈতিকতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড বজায় রাখে। আমরা নির্ভীক ও বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদনকে সম্মান করি, এমনকি যদি তা আমাদের এজেন্ডার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না-ও হয়।”
তিনি আরও বলেন, “যদি আমরা একটি শক্তিশালী ও টেকসই গণতন্ত্র পেতে চাই, তাহলে সাংবাদিকতার সততা ও স্বাধীনতা অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। আসুন, আমরা সব বিভেদ এক পাশে সরিয়ে রেখে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলি, যেখানে নির্বাচিত ও জবাবদিহিমূলক সরকার সবার জন্য গণমাধ্যমসহ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, আইনের শাসন নিশ্চিত করবে।”
এভাবে তারেক রহমান গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রতি তার দৃঢ় বিশ্বাস এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং মুক্ত স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।