Your Ads Here 100x100 |
---|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
কাশ্মীরের পেহেলগামে সম্প্রতি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে নতুন করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ভারতের নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের রামবান জেলায় একটি সেনাবাহিনীর গাড়ি গিরিখাতে পড়ে তিন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
৪ মে রোববার, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রামবান জেলার ব্যাটারি চশমা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জম্মু থেকে শ্রীনগরগামী সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৭০০ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিন সেনা সদস্য—অমিত কুমার, সুজীত কুমার এবং মান বাহাদুর।
ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সেনাবাহিনী, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এসডিআরএফ) ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নেয়। তবে, এখনো পর্যন্ত আরও কেউ আহত হয়েছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ির ধ্বংসাবশেষ খাদে ছড়িয়ে রয়েছে, এবং নিহতদের মরদেহ ও কিছু সরকারি নথিপত্র পাশেই পড়ে রয়েছে।
এ ঘটনার কয়েকদিন আগে ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হন। ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে দাবি করেছে, হামলাটি প্রতিবেশী দেশের মদদে সংগঠিত হয়েছে, তবে এখনও এই বিষয়ে কোনো প্রমাণ প্রকাশ পায়নি।
এ ঘটনার পর, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। সীমান্তবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা বাঙ্কার সংস্কার এবং জরুরি প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছেন। উভয় দেশই সীমান্তে সেনা ও অস্ত্রের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, যা পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাতের আশঙ্কা আরও বৃদ্ধি করছে।
কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্তের সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা এবং সন্ত্রাসী হামলা এই অঞ্চলের অস্থির বাস্তবতা এবং বিপজ্জনক উত্তেজনার প্রতিফলন।