Your Ads Here 100x100 |
---|
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জের কাশীরাম গ্রাম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামকে আটক করা হয়। এ সময় হাতীবান্ধা ও আদিতমারী উপজেলা থেকেও তিন নেতাকে আলাদা অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম কালীগঞ্জের কাশীরাম গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিফুলের বিরুদ্ধে রংপুর ও লালমনিরহাটে গত জুলাই ও আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও তার ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের আস্থাভাজন কর্মী বলে পুলিশ দাবি করেছে। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানান, শরিফুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
অন্যদিকে, হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মফিজুল ইসলাম সুমন ও গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রমজান আলী খানকে হাতীবান্ধা থানার পুলিশ আলাদা অভিযানে আটক করে। এছাড়া আদিতমারী উপজেলার ভাদাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অলিয়ার রহমান অলিকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এই তিন নেতার গ্রেপ্তারের সরাসরি কারণ বা কোন মামলার তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ করেনি পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শরিফুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে এই অভিযান পরিচালিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রেপ্তারকৃত সকলকে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও পুলিশ নিশ্চিত করেছে।