Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসার যদি কোনো উদাহরণ থেকে থাকে তবে সেটা মায়ের ভালোবাসা। মা মানে নাড়ির টান! একজন মা জীবনের সব কিছুকে ত্যাগ করে সন্তানের সুখের জন্য সব কিছু করতে পারেন। মায়েদের ভালোবাসা ও সম্মান করার জন্য বিশেষ কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। তবু প্রতিবছর পালিত হয় মাতৃদিবস।
আজ ১১ মে মা দিবস। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার এই দিবসটি পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটির ইতিহাস, তাৎপর্য, গুরুত্ব সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।
১৯১৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেন। মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার দিনটি মাকে সম্মান জানানোর জন্য বিশেষ দিন। প্রতিটি সন্তানের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত বিশেষ।
এই দিন বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাকে ভালোবাসা দিয়ে ভরিয়ে তোলার একটি বিশেষ দিন। তাই কঠোর পরিশ্রমের মাঝেও তাদের মুখে হাসি ফোটানোই প্রত্যেকটি সন্তানের কর্তব্য।
মাতৃ দিবস সবার কাছে একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি মায়ের ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার একটি দিন। যিনি তার সন্তানকে ছোট থেকে বড় করেন।তার সুখের জন্য সব কিছু করে থাকেন। আর এই বিশেষ দিনে সন্তানরাও তার মাকে খুশিতে রাখার জন্য ঘুরতে নিয়ে যান, তাদের সঙ্গে সময় কাটান।
তবে পৃথিবীর সব জায়গাতেই নানা ভাবে পালিত হয় মা দিবস। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুসারে একে অপরের থেকে আলাদা। তবে আমাদের দেশে এই বিশেষ দিনে সবাই তার মায়েদের জন্য উপহার আনেন। সুন্দর শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। আবার বিদেশেও কিন্তু অনেকে তার মায়েদের কার্ড ও ফুল দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করেন।
জাপানে মা দিবসের উপহার হলো ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা। নেপালে মা দিবস উদযাপনের একটি বিশেষ উৎসব পালন করা হয়, যাকে বলা হয় ‘মাতা তীর্থ আউন্সি’। এই বিশেষ দিনে প্রত্যেকটি সন্তান যেন নিজেদের মায়ের সঙ্গে প্রচুর সময় কাটান। জাপানে মা দিবসের দিন মায়েদের নানান উপহার দেওয়া হয়। বিশেষ উৎসবও পালন করে থাকেন সেখানকার বাসিন্দারা। যদিও মায়েদের খুশি করবার জন্য কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না।
প্রত্যেক সন্তানই যেন তার মাকে নিয়ে ভালো থাকেন, এমনই কামনা করা উচিত। তাই তাদের খুশি করার জন্য তাদের সঙ্গে ঘুরতে যান। নিজের হাতে রান্না করেও মাকে খাওয়াতে পারেন।
সূত্র : ওয়ানইন্ডিয়া