Your Ads Here 100x100 |
---|
খবরের দেশ ডেস্কঃ
আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণার পর দলটির নেতাকর্মীরা দেশজুড়ে নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে—এমন আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সারা দেশে নজরদারি ও গ্রেফতার অভিযান জোরদার করেছে। গোপন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দলটি ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের’ কৌশলে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। সাইবার জগতে তাদের তৎপরতা বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ফলে গোয়েন্দা নজরদারি আরও তীব্র করা হয়েছে।
পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক জানান, নিষিদ্ধ সংগঠনের নামে কেউ কোনো তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলায় এসপিদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “ঢাকা রেঞ্জের কোনো পুলিশ সদস্য যদি নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতি সহানুভূতি দেখান কিংবা জড়িত থাকেন, তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এসএন নজরুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর যেকোনো তৎপরতা নিষিদ্ধ। প্রকাশ্যে হোক বা গোপনে—তাদের যে কাউকে দেখামাত্র গ্রেফতার করতে হবে।”
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যুগ্ম কমিশনার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা গোপনে দেশবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত। তাদের তালিকা আমাদের হাতে রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী গ্রেফতার অভিযান চালানো হচ্ছে।”
তিনি জানান, সম্প্রতি রাজধানীতে সংঘটিত বেশ কয়েকটি ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া ও নেতৃত্ব দেওয়া অভিযোগে ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম মুরাদ, সাবেক এমপি শামীমা আক্তার খানম (ওরফে শামীমা শাহরিয়ার), সেলিনা ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কুমিল্লার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস ছোবহান ভূঁইয়া হাসান।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি দেশত্যাগ করা সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং গ্রেফতারকৃত নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী দল পুনর্গঠনের উদ্যোগে সক্রিয় ছিলেন।
এদিকে, পুলিশের মিডিয়া ও জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, “নিত্যদিন ঢাকা মহানগর পুলিশ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং চব্বিশের গণহত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করছে। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা সতর্ক রয়েছি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টাকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে। সাইবার প্যাট্রোলিং অব্যাহত রয়েছে।”
এ বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, আত্মগোপনে থাকা নেতাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। অন্য জেলা থেকে ঢাকায় আসা নেতাকর্মীদেরও গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।