| Your Ads Here 100x100 |
|---|
বগুড়া প্রতিনিধি :
বগুড়ার আদমদীঘির সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর দায়ের করা অভিযোগের তদন্তে সত্যতা মিলেছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ওই শিক্ষকের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান জানিয়েছেন, তদন্ত প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে এবং সেখান থেকে অতিশীঘ্রই একটি সিদ্ধান্ত আসবে।
গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর, উপজেলার নসরতপুর ইউনিয়নের সাঁওইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অভিভাবক ও এলাকার বাসীর পক্ষ থেকে নুরুজ্জামান, জিয়াউর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিক নামক তিন ব্যক্তি নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে উপজেলা শিক্ষা অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল, ওই অভিযোগটির তদন্ত শুরু করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন, নাজিম উদ্দিন সোহেল ও সুবাস চন্দ্র পাল। তারা তদন্তে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান এবং একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ২০২৪ সালের মহান বিজয় দিবস পালন করেননি, তিনি প্রতিদিন ১০টার পরে বিদ্যালয়ে আসেন, সরকারি বরাদ্দের অর্থ ইচ্ছেমত খরচ করেন, নিয়মিত মিটিং করেন না, শিক্ষকদের বাজেভাবে গালিগালাজ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এছাড়া, শিক্ষকদের ক্যাজুয়াল ছুটির জন্য ১০০ টাকা দাবি করেন এবং টাকা না দিলে ছুটি মঞ্জুর করেন না। তিনি আরও জানান, শিক্ষিকারা তাদের বাচ্চকে দুধ খাওয়াতে গেলে তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
সহকারী শিক্ষক এস, এম রহমত আলী, জয়নব, রোমানা, ফরহাদ, মোহসিন ও ইউনুস আলীসহ অনেকেই তদন্ত টিমকে একই রকম লিখিত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
এদিকে, প্রধান শিক্ষক আল মামুনুর রশীদ এখনও তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেননি। অভিযোগে নির্দিষ্ট কোনো প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে তিনি বলেন, “তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো সবই মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। মূলত আমার সুনাম ক্ষুণ্ণ এবং আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কিছু লোক এসব মিথ্যা কথা বলছে।”
উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুর রহিম প্রধান বলেন, “তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে। ওই শিক্ষকের ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত দিবেন।”
