28.2 C
Dhaka
বুধবার, মে ১৪, ২০২৫

জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপিলের রায় ১ জুন

জনপ্রিয়
খবরের দেশ ডেস্ক:

- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরতের আবেদনের বিষয়ে দায়ের হওয়া আপিলের রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ। আগামী ১ জুন এ বিষয়ে রায় ঘোষণা করবেন আদালত।

বুধবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়স রেফাত আহমদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ উভয় পক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এই দিন ধার্য করেন।

বাবার কারাদণ্ডের বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ইমরানের ছেলেরা

 

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির ও ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।

অপরদিকে ইসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। 

গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পেতে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়। এই দিন  কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় আজ বুধবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

এর আগে গত ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।

 

২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেয়। এরপর আপিলটি পুনরুজ্জীবনের জন্য আবেদন করা হয়। গত বছরের ২২ অক্টোবর আদালত বিলম্ব মার্জনা করে আপিলটি শুনানির জন্য রিস্টোর করেন। ওই দিন আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির।

এরপর ৩ ডিসেম্বর আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছিল। 

কারাগারে বন্দির সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক, কারা কর্মকর্তার কারাদণ্ড

 

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীকে সাময়িক নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরের বছর বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, জাকের পার্টির তৎকালীন মহাসচিব মুন্সি আবদুল লতিফ, সম্মিলিত ইসলামী জোটের প্রেসিডেন্ট মাওলানা জিয়াউল হাসানসহ ২৫ জন জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটে বিবাদী করা হয় জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, নির্বাচন কমিশনসহ চারজনকে। তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের আরজি জানান।

 

এ রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক (পরে প্রধান বিচারপতি) ও বিচারপতি মো. আবদুল হাইয়ের (বর্তমানে অবসর) হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করেন।

২৫ বছর পর আবারও প্রেক্ষাগৃহে আসছে ‘ধাড়কান’

 

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রুল জারির পর ওই বছরের ডিসেম্বরে একবার, ২০১০ সালের জুলাই ও নভেম্বরে দুবার এবং ২০১২ সালের অক্টোবর ও নভেম্বরে দুবার তাদের গঠনতন্ত্র সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। এসব সংশোধনীতে দলের নাম ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করা হয়।

২০১৩ সালের ১২ জুন ওই রুলের শুনানি শেষ হয়। একই বছরের ১ আগস্ট জামায়াতকে দেওয়া নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নিবন্ধন সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে অবৈধ বলে রায় দেন বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন (বর্তমানে অবসর), বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম (পরে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ) ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হকের (১৯ নভেম্বর পদত্যাগ করেন) সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বৃহত্তর (লার্জার) বেঞ্চ।

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

“নবনির্বাচিত মেয়র ইশরাকের শপথে বাধা চেয়ে রিট আবেদন”

  খবরের দেশ ডেস্কঃ বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে...