32.6 C
Dhaka
বুধবার, আগস্ট ৬, ২০২৫

ঢাবি ভিসির ওপর দায় চাপানো সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা: সারজিস

জনপ্রিয়
- Advertisement -
Your Ads Here
100x100

 

খবরের দেশ ডেস্কঃ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাম্য হত্যাকাণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে অসভ্য আচরণের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় সামাজিক মাধ্যমে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের ভাই সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং প্রক্টর স্যারের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে এবং তাদের ওপরে দায় চাপানোর যে চেষ্টা করা হয়েছে সেটা স্রেফ অপচেষ্টা এবং সত্যকে আড়াল করার পাঁয়তারা।’

তিনি বলেন, ‘প্রথমত, ঘটনা ঘটেছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শৃঙ্খলার দায়িত্ব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের না। দ্বিতীয়ত, এই উদ্যানের মাদক সেবন, হেনস্থা, চাঁদাবাজি সহ যাবতীয় অপকর্ম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নয় বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কিংবা প্রভাব খাটানো বিভিন্ন সংগঠন এবং তাদের ছত্রছায়ায় থাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেট করে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উদ্যানের গেট এবং উদ্যানের ভিতরের অংশে ভাসমান দোকান দিয়ে বস্তি বানানো, মন্দিরের গেটের আশপাশে এবং পুরো ক্যাম্পাসে শতাধিক ভাসমান দোকান ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্টের অন্যতম কারণ। এই দোকানগুলো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বসায়নি বরং ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা কোনো না কোনো সংগঠনের কিছু চাঁদাবাজ নেতাকর্মীরা বসিয়েছে। তারা এর ভাগ নেয় এবং প্রটেকশন দেয়।’

সারজিস বলেন, ‘এখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেকেই সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এসব অপকর্মে প্রশ্রয় দেয় এবং নিজের ভাগ বুঝে নেয়। কেউ ভালো উদ্দেশ্যে কাজ করতে চাইলে তাকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা বিভিন্ন নেতাকর্মীর দ্বারা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।’

এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এগুলো উচ্ছেদ করতে যায় তখন তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়, ক্ষমতার দাপট দেখানো হয়। উদ্যানের গেট যখন বন্ধ করা হলো তখন এই গেট খুলে যারা গেটের ভিতরে ও বাইরে পঞ্চাশের অধিক দোকান বসিয়েছে তারা এই হত্যার পরিবেশ সৃষ্টির পিছনে অন্যতম দায়ী।’

তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেল স্টেশন এবং শহিদ মিনারকে ব্যবহার করে যারা সেখানে শতাধিক ভাসমান দোকান বসিয়ে, চাঁদাবাজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট করছে তারা এমন হত্যাকাণ্ডের পরিবেশ সৃষ্টির পেছনে দায়ী।

যারা উদ্যানের ভিতরে মাদকের সিন্ডিকেট চালায়, মাদক সাপ্লাই দেয়, মাদক সেবনের পরিবেশ তৈরি করে এবং সেখান থেকে চাঁদাবাজি করে তারা এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে পরোক্ষভাবে দায়ী।’

সারজিস আলম আরও বলেন, ‘টিএসসিকে ক্যাম্পাসের চা দোকানের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। প্রায় ৩০টি চা দোকান প্রতিদিন পুরো ঢাকা শহর থেকে হাজার হাজার বহিরাগতকে টেনে আনে, যার মধ্যে মাদকসেবীও থাকে। এতে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।’

তিনি দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এসব দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়ে। চাঁদাবাজি, মাদক বাণিজ্য ও অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নিতে গেলে ‘একটি গোষ্ঠী’ বাধা দেয়।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ, বহিরাগত নিয়ন্ত্রণ ও টিএসসিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া চালু করতে হবে।’

সবশেষে তিনি বলেন, ‘সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। প্রশাসন যেন অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাণ হারাতে না হয়।

 

 

- Advertisement -spot_img
সর্বশেষ

রোজা, তুমি এবার তাড়াতাড়ি এসো: আনিস আলমগীর

খবরের দেশ ডেস্ক : সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন চুপপুর ৫ আগস্ট দিবসে মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিক আনিস আলমগীর তার ভেরিফাইড ফেসবুকে...