Your Ads Here 100x100 |
---|
রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাস্তার পাশে বাঁশের একটি আড়ত দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। কথা হলো আড়তের মালিকের সঙ্গে। কথোপকথনে উঠে এল দেশের এক প্রাচীন ও বহুমুখী কাজে ব্যবহৃত উদ্ভিদ — বাঁশ নিয়ে নানা তথ্য।
বাঁশ আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। গ্রামবাংলার প্রায় প্রতিটি অঞ্চলে বাঁশঝাড় দেখা যায়। এমন কোনো এলাকা নেই, যেখানে বাঁশের অস্তিত্ব নেই বলা চলে। যদিও এখন গ্রামাঞ্চলে আগের তুলনায় বাঁশঝাড়ের সংখ্যা অনেক কমে গেছে।
আড়ত মালিক জানান, বাঁশ দিয়ে ঘরবাড়ি তৈরির খুঁটি, বেড়া, টং, এমনকি নানান রকম ডেকোরেশনের কাজ করা হয়। নির্মাণশিল্পেও এর ব্যবহার ব্যাপক। ঢাকার মতো শহরে বহুতল ভবন তৈরিতে রাজমিস্ত্রিরা বাঁশ ব্যবহার করে কাঠামো নির্মাণে। ফলে প্রতিদিন ট্রাকে করে প্রচুর বাঁশ শহরে পাঠানো হয়।
বর্তমানে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বাঁশের দামও বেড়ে গেছে। একেকটি বাঁশের দাম এখন ৪০০ টাকা পর্যন্ত গড়ে দাঁড়িয়েছে।এছাড়া রাজশাহীর মৌগাছি এলাকায় পানের চাষ হয় ব্যাপকভাবে। পানের বরজ তৈরিতেও বাঁশের চাহিদা অনেক বেশি। ফলে মৌসুমে এ এলাকায় বাঁশের ব্যবহার বাড়ে কয়েকগুণ।
বাঁশের আড়তদাররা বলছেন, পরিকল্পিত বাঁশচাষ এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই খাত হতে পারে লাভজনক একটি কৃষিভিত্তিক শিল্প।