Your Ads Here 100x100 |
---|
স্পোর্টস ডেস্কঃ
এক সময় পথ হারানোর দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছিল বার্সেলোনা। ক্লাবের ভেতরে-বাইরে চলছিল বিশৃঙ্খলা, হতাশা আর আর্থিক অনিশ্চয়তা। মাঠের বাজে পারফরম্যান্সে সমর্থকদের মনে নেমে এসেছিল গভীর অন্ধকার। এমন এক সংকটময় সময়ে কাতালান ক্লাবটির হাল ধরেন জার্মান কোচ হান্সি ফ্লিক।
বায়ার্ন মিউনিখে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার পর জার্মান জাতীয় দলে দায়িত্ব নিয়ে কিছুটা হতাশ করেন ফ্লিক। কিন্তু বার্সেলোনায় এসে যেন নতুন করে নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। তার অধীনেই চলতি মৌসুমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বার্সা, আর সেই ঘুরে দাঁড়ানোটা কেবল আশাব্যঞ্জক নয় রীতিমতো ঐতিহাসিক। এক মৌসুমেই তিন তিনটি শিরোপা এনে দিয়েছেন ।
লা লিগা, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও কোপা দেল রে’র—তিন শিরোপার সবগুলোতেই বার্সেলোনা হারিয়েছে তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে। বিশেষ করে সুপার কাপ ও কোপা দেল রে’র ফাইনালে রিয়ালকে উড়িয়ে দিয়েছে বার্সেলোনা। আর লিগেও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিছনে ফেলেছে লস ব্লাঙ্কোসদের।
এই ঐতিহাসিক সাফল্যের রহস্য কী? এক প্রশ্নের জবাবে ফ্লিক বলেন,
“আমরা সবসময়ই ইতিবাচক থাকতে চেয়েছি এবং ট্রেনিং সেশনগুলোতে সেই আবহ টের পেয়েছি। বার্সেলোনার মতো ক্লাবে শিরোপা জিততে হয়, এবং আমরা এবার তিনটি ট্রফি জিতেছি, যা দারুণ।”
তিনি আরও বলেন,“বিশেষ করে মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে আমরা ছিলাম অসাধারণ। একটি ম্যাচও হারিনি, এটা স্রেফ দুর্দান্ত। গোটা দল, পুরো ক্লাব এবং সমর্থকদের অভিনন্দন। আমরা যা অর্জন করেছি, তাতে আমরা অত্যন্ত খুশি।”
বার্সেলোনার স্কোয়াডে রয়েছে অনেক তরুণ খেলোয়াড়, যাদের একসূত্রে গাঁথা ছিল ফ্লিকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কঠিন পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬০ বছর বয়সি এই কোচ।
“সরাসরি ব্যাখ্যা করার সময় হয়তো ছিল না, কিন্তু আমি দলে একটি সংস্কৃতি গড়ে তুলেছি। পারিবারিক আবহ তৈরি করেছি, তীব্র তাড়না ও মানসিকতা গড়ে তুলেছি। এখন আমাদের এই পরিবারকে দেখে আমি গর্বিত। আমরা যেভাবে একে অপরকে দেখভাল করি, তা সত্যিই অনন্য।” — বলেন ফ্লিক।
ফ্লিকের ছোঁয়ায় আবারও ইউরোপিয়ান সেরার লড়াইয়ে ফিরে এসেছে বার্সেলোনা। নতুন ইতিহাস গড়তে পারে এই ‘নতুন পরিবার’।