Your Ads Here 100x100 |
---|
রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে ১৬ লাখ টাকার প্রতারণা করেছে একটি ইলেকট্রনিক প্রতারক চক্র। চক্রটি মাত্র তিনদিনে ব্যাংক হিসাব থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেয়।
প্রতারিত ব্যাংক কর্মকর্তা ফারিয়া ইয়াসমিন (৩১), ব্র্যাক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের তাহেরপুর শাখার ফিল্ড অফিসার, ১০ এপ্রিল তার মোবাইল ফোনে একটি টেলিগ্রাম অ্যাপের মাধ্যমে একটি বার্তা পান। ওই বার্তাটি পাঠিয়েছিল এক নারী, নাম মানজিয়া আক্তার। তিনি ব্যাংক কর্মকর্তাকে অনলাইনে “ইডেন রিয়্যালিটি কোম্পানি”-তে কাজ করার প্রস্তাব দেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, জমা রাখা অর্থের বিপরীতে দ্বিগুণ মুনাফা লাভ হবে।
ফারিয়া ইয়াসমিন এই প্রলোভনে পড়ে, প্রথমে ৮,০০০ টাকা জমা দেন। এরপর প্রলোভন আরো বাড়ানোর পর তিনি মোট ১৬ লাখ ৩৮ হাজার ৪ টাকা ওই কোম্পানির হিসাবে জমা করেন। বিপুল পরিমাণ টাকা নেয়ার পরেই অ্যাপস বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
বাগমারা থানায় ব্যাংক কর্মকর্তার অভিযোগের পর তদন্তে নেমে পুলিশ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে কুড়িগ্রামের মামুন হোসাইন (২২), সাতক্ষীরার রহমত হোসাইন (৩৮), খুলনার নাসিম ঢালী, নাজমুস সাকিব ও ঢাকার আরিফুর রহমান রয়েছে।
বাগমারা থানার এসআই শিহাব উদ্দিন, যিনি এই মামলার তদন্তে নিয়োজিত, জানান যে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
বাগমারা থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করেছি এবং তাদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এখনও অন্যান্য সদস্যদের ধরতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
এদিকে, ব্যাংক কর্মকর্তার কাছ থেকে ১৬ লাখ টাকা প্রতারণা করে নেয়া হলেও, পুলিশের কঠোর পদক্ষেপের কারণে প্রতারক চক্রের কার্যক্রম অচিরেই ধরা পড়েছে। স্থানীয়রা এই ধরনের প্রতারণার বিরুদ্ধে আরও সচেতন হওয়ার জন্য পুলিশকে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।