Your Ads Here 100x100 |
---|
ফটিকছড়ি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নারায়নহাট বাজারে সরকারীভাবে নির্মিত ১১টি শেড থাকলেও অধিকাংশই চলে গেছে প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রনে। তবে শেডগুলো বাজারে প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের জন্য সংরক্ষণের কথা থাকলেও সেখানে স্থায়ীভাবে দোকান করে নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রভাবশালীরা। এসব শেড দখল করে গড়ে তুলেছে মুদি, কাপড় ও জুতার দোকান। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিজেদের জন্য নির্মিত শেডে জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে সড়কের পাশে বসে বেচাকেনা তাদের পণ্য।
জানা যায়, দুই দশক পূর্বে এ বাজারের ক্ষুদ্র ও কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী প্রান্তিক চাষীদের জন্য শেডগুলো নির্মাণ করে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ। পরবর্তীতে নতুন শেডে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কিছু দিন কেনা-বেচার সুযোগ পেলেও পরে শেডগুলো চলে যায় স্থায়ী দোকানীদের দখলে।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ আগের ইজারাদার এসব দখলদার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক ও মাসিক ভাড়ার ভিত্তিতে এসব সরকারী শেড ভাড়া দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের পূর্ব মধ্যখানে সরকারী ভাবে নির্মিত ১১টি দোচালা টিনশেড রয়েছে। একেকটি শেডের দৈর্ঘ্য ৪০/৫০ ফুটের কাছাকাছি। প্রতিটি শেডে ৬ থেকে ৮ টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে হাতেগোনা ৮-১০টি। এর মধ্যে ৫ টি শেডের প্রায় ১০ টি দোকান দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলেছে মুদি, ফার্নিচার, চা, গ্রোসারি ও জুতার দোকান।
সড়কের পাশে সবজি বিক্রেতা আমির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, যতটুকু জানি সরকারীভাবে শেডগুলো নির্মাণ করা হয়েছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য। কয়েক বছর আগে থেকে এগুলো স্থায়ীভাবে দখল করে রাখা হয়েছে। মনে হচ্ছে এ নিয়ে কারো কোন মাথাব্যথা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘কোন অবস্থাতেই সরকারী শেডে স্থায়ী দোকান বসানো যাবে না। অচিরেই অভিযান চালিয়ে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হবে।’